সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : “দলে কেউই অপরিহার্য নয়”; হাইকোর্টে জামিন খারিজের পর থেকে নিখোঁজ জেলা যুব সভাপতি প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন তৃনমূল নেতা তপন ব্যানার্জী।
শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন, আইনি জটিলতায় ভোট ময়দানে গরহাজির জেলা যুব তৃনমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এক এবং দুই এই দুই এলাকার পঞ্চায়েত নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন ব্যানার্জী।

উল্লেখ্য, গত পয়লা এপ্রিল শহরের বুকে ঘটে যাওয়া দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল জেলা যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী দম্পতি আত্নহত্যার মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন জলপাইগুড়িতে অবস্থিত কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে। যদিও উচ্চ আদালতের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তৃনমূল নেতা তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর থেকেই অদৃশ্য হয়ে যান এই যুব নেতা। উচ্চ আদালতে জমিনের আবেদন খারিজ হতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। সৈকত চ্যাটার্জীর বাড়ি সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এদিকে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত জেলা পুলিশ ভারতীয় দন্ড বিধির ৩০৬ ধারায় অভিযুক্ত এই তৃনমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অপরদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্তির কথা জানানোর পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনে তৃনমূল দলের ফলাফল প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তপন ব্যানার্জী বলেন,
সদর ব্লকের এক এবং দুই নম্বর এলাকার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব দল তাঁকে দিয়েছে। মনোনয়ন পর্ব শেষ হতেই তৃনমূল নেতৃত্ব কর্মী এবং সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বৈঠক করার পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার শুরু করা হবে শীঘ্রই।

নির্বাচনে এই দুটি এলাকার সব কয়টি আসনেই তৃনমূল দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত বলে জানান সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত তৃনমূল কংগ্রেস দলের টাউন ব্লক সভাপতি।
একদিকে শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, এই সময় আইনি জটিলতার কারণে ভোট ময়দানে গরহাজির জেলা যুব তৃনমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী। এই প্রসঙ্গে শহর তৃনমূল কংগ্রেস দলের সভাপতির সাফ জবাব, দলে কেউই অপরিহার্য নয়। সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও সেটি অন্য কেউ ঠিক পূরণ করে দেবে, বিষয়টি এমন নয় যে আমিই দলের একমাত্র।
বিরোধী দল গুলোর প্রসঙ্গে তপন বাবু বলেন, বিরোধীরা এই অঞ্চলে ঐক্যবদ্ধ নয়, সেইক্ষেত্রে তৃনমূলের জয় নিশ্চিত।