নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১১ মে ২০২২ : জনবহুল এলাকার কোথাও শব্দের মাত্রা ৯৩.৭ ডেসিবেল, আবার কোন জায়গায় ৮৩ ডেসিবেল। স্বাভাবিক থেকে কিছুটা বেশি বলে দাবি। জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক দল পড়ুয়াদের সমীক্ষায় ঠিক এরকম তথ্য উঠে এসেছে শহরে।

শহরের ব্যস্ততম বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন পড়ুয়া শব্দ দূষণ নিয়ে সমীক্ষা শুরু করলেন। কোথায় কত মাত্রায় শব্দ দূষণ হচ্ছে তা জানতে যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে রাস্তায় নেমে সরজমিনে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। প্রায় এক মাস সমীক্ষার করে প্রজেক্টের পুরো রিপোর্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধরা হবে দাবি পড়ুয়াদের। স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের সামনে এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে অফিসের সময়ে শব্দ দূষণ কত হচ্ছে এবং স্বাভাবিক সময়ে শব্দের মাত্রা কত থাকছে তা জানতে তিন -পাঁচ মিনিট বাদে বাদে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। কদমতলা মোড়ে, শান্তি পাড়া, হাসপাতালের সামনে এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।

সমীক্ষার দলের আছেন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌরভ বিশ্বাস, অংশুমান বর্মণ ও শান্তুনু ভট্টাচার্য। জনবহুল এলাকা যে সব জায়গায় লাগাতার গাড়ি যাতায়াত করে সেখানে ৬৫- ৭০ ডেসিবেল শব্দ স্বাভাবিক দাবি পড়ুয়াদের। সেই তুলনায় অনেকটাই বেশি শব্দ হচ্ছে প্রাথমিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শান্তুনু ভট্টাচার্য বলেন, গাড়ির হর্ণ ব্যবহার না করাই ভাল। আমরা রিপোর্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে জমা করব।

সমীক্ষা দলের আরও এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৌরভ বলেন,”বেশি শব্দ দূষণ হচ্ছে সেরকম এলাকায় বাসিন্দাদের কানের সমস্যা, মাথা ব্যাথা সহ বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যেখানে শব্দের মাত্রা বেশি থাকবে সেই এলাকায় সচেতন করা হবে।