জলপাইগুড়ি : আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। বিরাট ক্ষতির মুখে উত্তরের চা শিল্প। বিগত কয়েক মাস ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। চা উৎপাদনে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চা মালিকরা। একদিকে অনাবৃষ্টি অন্যদিকে পোকামাকড়ের আক্রমণে উৎপাদনের ঘাটতি। গ্রীষ্মের তীব্রদাবদাহের ফলে চা বাগানের পাতা ঝলসে যাচ্ছে।

চা বাগান মালিক সংগঠন ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মুখ্য উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তী জানান গত বছরের এই সিজনের চাইতে এবছর বৃষ্টির অনুপাত অনেক কম আছে। ফলে চা পাতা যে পরিমান উৎপাদন হবার কথা ছিল তা ব্যহত হয়েছে বৃষ্টির কারনে। পাশাপাশি এই সময়ে তীব্র দাবদাহের ফলে চা বাগানে চা পাতা ঝলসে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হবার কারনে পোকা মাকড়ের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই মুহুর্তে বৃষ্টির খুব দরকার আছে। বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও তা খুবই কম। আমরা বিরাট আশা নিয়ে বসে আছি বৃষ্টি হবে।

এদিকে জলপাইগুড়ির চা চাষী
সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী জানান গত কয়েক বছর থেকে আবহাওয়ায় খাম খেয়ালিপনার জন্য চা পাতা উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এই বছর প্রায় সাড়ে সাত মাস বৃষ্টি নেই। বৃষ্টি নেই ফলে জল সেচ দিয়ে গাছকে বাঁচানো যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু উৎপাদন আসছে না। মার্চ মাসে যে পরিমান চা পাতা উৎপাদন হবার কথা ছিল তা হয়নি। উত্তরবঙ্গেই ক্ষুদ্র চা বাগানে চা উৎপাদনে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। যদি বৃষ্টি না হয় এত পোকামাকড় এসেছে। সবার পক্ষে কৃত্রিম উপায়ে জল সেচ দেওয়া সম্ভব নয়। কারন ব্যয় সাপেক্ষ। চা যেহেতু প্রকৃতি নির্ভর একটা শিল্প সুতরাং বৃষ্টির না হলে উৎপাদন মার খাবার সম্ভাবনা আছে।