সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ ডিসেম্বর’২৩ : রাত পোহালেই বর্ষবরণ। আর তার আগেই শীতের মরশুমে তিস্তার পাড়ে যেভাবে পরিযায়ী পাখিদের কলরব শোনা যায়, ঠিক তেমন ভাবেই বছরের শেষ রবিবারে দল বেঁধে শীতের রোদ মেখে তিস্তার পারে চড়ুইভাতিতে মেতে উঠেছেন শহরের মানুষ। তিস্তার এক নম্বর স্পার থেকে সাত নম্বর স্পারের ধারে গাছের ছায়ায় চলছে রান্না, খেলাধুলা, গানবাজনা।

কোথাও দেখা গেল স্বপরিবারে পিকনিকে মেতেছেন শহরের কংগ্রেস পাড়ার সঞ্জয় দত্তরা। আবার চার নম্বর স্পারের তেজপাতা বাগানের সামনে হাসি-ঠাট্টা, নাচের মধ্যে দিয়ে সপ্তাহান্তে পিকনিকে মশগুল সন্দীপ ভট্টাচার্য্য, শুভজিৎ দাস, শঙ্খ শুভ্র নন্দীরা। ওদের মধ্যে ক্লিনটন সরকার বললেন, বছরের শেষ। তার উপর রবিবার। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর এর থেকে ভালো সুযোগ আর পাবো না। তাই পিকনিকের মধ্যে দিয়ে প্রায় ২৫ জন বন্ধু একত্রিত হয়ে এই তিস্তার পাড়ে পিকনিক করছি।
ছয় নম্বর স্পারে পরিবারের সকলের সাথে পিকনিকে এসেছেন ভিতর পান্ডা পাড়ার দীপাঞ্জন দাস। নদীর একটি ছোট্ট ধারা পাড়ের থেকে দেখা যাচ্ছে। ওটাকে ভিউ রেখেই চলছে ফ্রাইড রাইস, চিকেন, পনীর, চাটনি বানানোর পালা। ওর কথায়, শীতের মরশুমে চুরুইভাতি না করলে বছরটা পূর্ণ হয় না। আর পরিবারের সাথে পিকনিকে আসার জন্য তিস্তা পাড়ের থেকে ভালো জায়গা আর কি হতে পারে। এক বাড়ির কাছে আর দ্বিতীয়ত সেফও। মহিলারা আছেন তাই সেফটির কথা মাথায় রাখতে হয়।
হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। দিনের তাপমাত্রা অবশ্য কিছুটা বেশি। কিন্তু তিস্তা নদীর পাড়ে হালকা হিমেল হওয়ায় পিকনিকের প্রকৃত আবহাওয়া শহরবাসীকে টানছে নিজের দিকে। আর সেই টানেই তিস্তা পাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। এছাড়াও স্কুলগুলোর পরীক্ষা শেষ হওয়ার বিষয়টাও রবিবারের পিকনিকের উপযুক্ত দিন হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অবশ্য।
এদিকে হবু বরদের সাথে এক নম্বর স্পারের চরে পিকনিকে এসেছেন পৃথা সাহা, অঙ্কিতা বণিকরা। তাদের পিকনিকে জনসংখ্যা ১২ জন। রান্না, গান বাজনার সাথে চলছে সেলিব্রেশন। পৃথা জানান, সামনেই ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে। তার আগে বন্ধুদের সাথে ছোট্ট ব্যাচেলর পার্টি কাম পিকনিক। তার উপর নিউ ইয়ার ইভ। সব মিলে আমরা ঠিক করলাম যে আজ পিকনিক করব। সবার ভোটে ডিসাইড হল এই জায়গা। তাই এখানেই হচ্ছে আমাদের ছোট্ট পিকনিক।