নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ মে ২০২২ : জলপাইগুড়ি জেলায় একশ দিনের কাজে ,পুকুর নয় সাগর চুরি হয়েছে, যার ফলেই বন্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় টাকা আসা, বললেন বিজেপি সাংসদ।
দলের ভাঙন রুখতে এবার বুথ স্তরে পৌঁছতে হবে বিজেপি নেতা কর্মীদের। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। দলীয় সুত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধে বুথ স্তরের গরিব মানুষরা পাচ্ছেন না এরকমই তথ্য উঠে এসেছে। এই কারণে দলের কার্যকর্তারা বুথ স্তরে পৌঁছে সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন কে কি সুবিধে পাচ্ছেন এবং কি সুবিধে পাচ্ছেন না খোঁজ করবেন। বুথকে স্ব-শক্তি করণ করার উদ্দেশ্যে এমনটাই উদ্যোগ। সমস্যাগুলো অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারকে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় একশো দিনের কাজকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পুকুর ও গাছ লাগানোর নাম করে জনগনের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বৈঠক করে জলপাইগুড়ি সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, “স্যোশাল মিডিয়ার বৈঠক দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। একশো দিনের কাজকে কেন্দ্র করে পুকুর চুরি নয় সাগর চুরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে চা বাগান এলাকায়। এই রাজ্যে এবং এই জলপাইগুড়ি জেলায় সম্পুর্ন বেআইনিভাবে প্রাইভেট ছোটো চা বাগানে একশ দিনের কাজ করানো হয়েছে যেটি সম্পুর্ন বেআইনি।”
তিনি আরো বলেন, “সম্প্রতি এই কাজের খোঁজ খবর নিতে কেন্দ্রীয় দল তদন্তে এসেছিল, তাদের দেওয়া তথ্যভিত্তিক রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে একশ দিনের কাজে পাহাড় প্রমান দুর্নীতি হয়েছে এই জেলা সহ রাজ্যে এবং রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের সঠিক হিসেব দিতে না পারার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে। রাজ্য সরকার হিসেব না দেওয়া পর্যন্ত মনে হয় না ঠিকভাবে টাকা পাবে।”