লেখক পঙ্কজ সেন
পিলখানা কথাটির অর্থ হল হাতিদের থাকার বা রাখার স্থান। বর্তমান জলপাইগুড়ি শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশের মুখে বাঁধের ডান দিকে একটি গলি দেখা যায়, যেটি ভানু নগর এলাকায় গিয়ে উঠেছে। সেই গলিতেই এই পিলখানা অবস্থিত ছিল। তবে এর সঠিক বয়স সম্বন্ধে কিছু জানা যায় না। অনেকের মতে এখানে রাজাদের হাতি থাকতো না, বন দপ্তরের হাতি রাখা হতো। ১৯৬৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত এখানে হাতি থাকার কথা শোনা যায়। কিন্তু ১৯৬৮ সালের তিস্তার ভয়াবহ বন্যায় হাতি গুলির মৃত্যু হয়েছিল। তবে পিলখানায় যেখানে হাতিদের বেঁধে রাখা হতো, সেই জায়গাটি এখনো আছে। হাতিগুলিকে দেখাশোনার জন্য থাকা মাহুত আজও কিছু আছে এই এলাকায়। সেই সময়ে হাতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে অঙ্কুশ বা গজ্বা ব্যবহৃত হতো, সেটা এখনো কোন কোন বাড়িতে স্মৃতি হিসেবে রাখা হয়েছে। ইংরেজ শাসনকালীন সময়ে জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা হাতির পিঠে চেপে চলাফেরা করতেন। অনেক হাতি অবশ্য সরকারি ছিল। বিকেল হলেই হাতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব হয়ে তিস্তা অথবা করলা নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো সাহেবদের অত্যন্ত পছন্দের বিষয় ছিলো।
ছবি প্রতীকী