বিক্ষোভের জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জলপাইগুড়ির হিমঘরের কর্মীরা। আলুর বন্ডের দাবীতে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিভিন্ন হিমঘরের সামনে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১২ মার্চ : জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে আলুর বন্ড নিয়ে হিমঘরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একাংশ কৃষক। সম্প্রতি একটি হিমঘরের অফিস ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের জেরে আটকে রাখা হচ্ছে হিমঘরের কর্মীদের। বাধ্য হয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ বন্ড বিলি থেকে সরে এসে ১৬ মার্চ থেকে হিমঘরে সরাসরি আলু জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। কিন্তু হিমঘরের কর্মীরা প্রায় দিনই বিক্ষোভের জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা কোল্ড স্টোরেজ কর্মী ইউনিয়নের তরফ থেকে হিমঘরের কর্মীরা কোতোয়ালি থানায় নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে ডেপুটেশন দিলেন। পুরো নিরাপত্তা না দেওয়া হলে সব হিমঘরের কর্মীরা কর্মবিরতি করার হুমকি দিয়েছেন। এদিন তাঁরা জেলাশাসক দফতরে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন তুলে দিয়েছেন।
ইউনিয়নের সভাপতি পল্লব কুমার দেবনাথ বলেন, “১৬ মার্চ থেকে হিমঘরে আলু রাখা হবে। নিরাপত্তা না দিলে আমরা কাজ করব না। আমাদের নিরাপত্তার দাবিতে জেলা প্রশাসন ও থানায় দারস্থ হয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১০ই মার্চ ফের আলুর বন্ডের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল কৃষকরা। এদিন তারা জলপাইগুড়ি শিলিগুড়িগামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এদিন সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির ৭৩ মোড় সংলগ্ন রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এই এলাকার কৃষকরা। এদিন ৭৩ মোড়ের দুটি কোল্ড স্টোরেজ সহ বাহাদুর ও পাঙ্গা এলাকার কোল্ড স্টোরেজের সামনে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা।
বাহাদুর অঞ্চলের একটি হিমঘরে আলু রাখার বন্ড না পেয়ে ব্যাপক উত্তেজনা, ভাঙচুর সহ আহত এক হিমঘর কর্মীকে আনতে গেলে এম্বুলেন্স এর ওপর চড়াও হয়ে চালক কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আন্দোলকারী আলু চাষীদের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে এম্বুলেন্স চালক জানান, এই ভাবে জরুরি ডাকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর যদি আক্রান্ত হতে হয়, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
অপরদিকে মোহিতনগর এলাকায় একটি হিমঘরে কিছুদিন আগেই আলু রাখার বন্ড না পেয়ে প্রায় সারাদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলো আন্দোলনরত আলু চাষীরা, প্রশাসন সেই দিন যে প্রীতিশ্রুতি দিয়ে ছিলো, বর্তমানে তার থেকে সরে এসে নানান নতুন নিয়ম লাগু করেছে বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই জন্যই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে নিজেদের দাবি আদায়ের চেষ্টা বলে জানালেন আন্দোলকারী আলু চাষী নির্মল রায়।