জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবনের সামনে করলা নদীর ওপর সেতুটি এখনও অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাঝে জমি জটের কারণে আটকে ছিল সেতুর দুপাশে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ। এখনও তৈরি হয়নি অ্যাপ্রোচ রোড। জমি সংক্রান্ত বিষয়টি অনেকটাই মেটানো সম্ভব হলেও বাকি কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। ফলে করলা নদীর ওপর এই সেতু দিয়ে চলাচলও সম্ভব হয়নি। প্রায় এক দশক ধরেই এভাবে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেতুটি। বর্তমানে অর্ধ সমাপ্ত এই সেতুটি এখন মানুষের জামা কাপড় শুকানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে। মানুষের পরিষেবা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই বর্তমান রাজ্য সরকার ও তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বলে অভিযোগ বিজেপির। অপরিকল্পিতভাবে সেতু তৈরির খেসারত এখন সাধারণ মানুষকেও দিতে হচ্ছে বলে দাবি।

জলপাইগুড়ি শহরের সাধারণ মানুষ নুন্যতম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ। তিনি বলেন, এটা তৃণমূলের মানসিক সমস্যা। জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করেছে তারা। ভোট লুঠ করেই এই রাজ্য সরকার ও জলপাইগুড়ি পুরসভা ক্ষমতায় এসেছে। তারা মানুষের কথা ভাবে না বলে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপি শুধু রাজনীতি করার জন্যই এইসব বলছে বলে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের।

এই বিষয়ে শহর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন ব্যানার্জি বলেন, বিজেপি জানে না সেতুটি বাম আমলে এসজিডিএ অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করেছিল। সেতু চালু করার জন্য আমাদের পূর্বতন এসজেডিএর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। কাজটি সমাধানের পথে রয়েছে। বর্তমানে এসজেডিএতে নতুন প্রশাসক এসেছেন। তার কাছে আমরা বিষয়টি ফের উত্থাপন করব বলে জানান তিনি।