সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৬ এপ্রিল’২৪ : জলপাইগুড়ি শহরের মাঝ বরাবর বয়ে যাওয়া করলা নদীকে টেমস বলতেন অনেকেই। সেই গর্বের নদী এখন শহরবাসীর কাছে লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে করলা নদীর অবস্থা শোচনীয়। শহরের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে এই নদী। নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ রয়েছে নদী। বাড়ছে কচুরিপানা। রাতের অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে মৃত পশুর দেহ। ফেলা হচ্ছে বাজারের আবর্জনা। নদীতে প্রায়ই ভেসে উঠছে মরা মাছ। পরিযায়ী পাখিরা এখন আর ফিরেও তাকায় না করলার দিকে। হারিয়ে গেছে নদীর নাব্যতা। দূষিত হয়ে গেছে নদীর জল। একসময় এই নদী জলপাইগুড়ি শহরের প্রাণ। শহরবাসীর দাবী দ্রুত এই নদীর সংস্কার করা উচিত। দূষণের হাত থেকেএই নদীকে বাঁচাতে দফায় দফায় বৈঠক করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। দুদিন পরেই আবার ভোট। দেশের সরকার গঠনে ভোট দেবে জলপাইগুড়ির মানুষ। ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি করলা অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি কতবার যে দিয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। বিভিন্ন কমিটির আলোচনায় উঠে এসেছিল করলার অ্যাকশন প্ল্যানে ভ্রাম্যমাণ হোটেলের কথা, তিস্তা নদী থেকে জল করলায় এনে ১০ মেগাহার্জ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা সহ আরও কত কী। ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও পাওনা শূন্য। নদী সংস্কার করে নাব্যতা বৃদ্ধি না করলে সামনের বর্ষায় আবার জলমগ্ন হবে বিভিন্ন এলাকা। বিষয়টি নিয়ে কী বলছেন শহরবাসী? শুনুন ভিডিওতে।
