সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জনবহুল পুর এলাকায় অবস্থান পুকুরটির। পুকুরটির চারপাশে মানুষের বসবাস এবং একটি হয় স্কুল রয়েছে। বিশাল এই পুকুরটি বর্তমানে নানাবিধ আবর্জনা থেকে শুরু করে মৃত জীবজন্তুর দেহাবশেষ ফেলার স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাসিন্দারা দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে নাকে কাপড় চাপা দিতে বাধ্য হন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি পুকুরটি মশার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এই দুর্বিষহ পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয়রা পুরসভার কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করেছেন পুকুরটি সংস্কারের জন্য।

কিন্তু হাল ফেরেনি পুকুরটির। দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই মেলে নি পুরবাসীদের। আমরা কথা বলছি জলপাইগুড়ি পুরসভার বারো নম্বর ওয়ার্ডের সেই পুকুরটির যেটি লোকমুখে হাইস্কুলের পুকুর নামে পরিচিত। জরাজীর্ণ এই পুকুরের হাল ফেলাতে আবারও স্থানীয় কাউন্সিলরকে নালিশ জানালো এলাকার বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে পুকুরের হাল ফেলাতে জলপাইগুড়ি পুরসভা উদ্যোগী হয়েছিল। কাজও হয়েছিল কিছুটা। কিন্তু সংস্কারের সেই কাজ আর শেষ হয়নি। বর্তমানে পুকুরের অবস্থা শোচনীয়। চারিদিকে নোংরা আবজনার ভর্তি। মৃত জীবজন্তুর দেহ ফেলানোর জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর মনিন্দ্র নাথ বর্মন ফের একবার আশার বাণী শুনিয়েছেন এবং বলেছেন কাজ এবার আশা করা যাচ্ছে খুবই তাড়াতাড়ি হবে।