নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ মে ২০২২ : একদিকে “তপন ব্যানার্জীকে পুর বোর্ডে রাখা হল না কেন পুর কর্তৃপক্ষ জবাব দেও”, অন্যদিকে “পুর বোর্ডে ক্ষমতালোভী, অর্থলোভী, ছাপ্পা ভোটের কান্ডারী পুর প্রশাসক দূর হাটো” এরকম পোস্টার পড়ল জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ও পুরসভার মূল গেটে। পোস্টারের নিচে লেখা জলপাইগুড়ি নাগরিক সমাজ। গতকাল জলপাইগুড়ি পুরসভার পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন হয়েছে। এরপরেই প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের একাংশের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন তপন ব্যানার্জী একমটাই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে শহরের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পুরসভার মূল গেটেও তপন বাবুর সমর্থনে পোস্টার পড়ল। ২৫ বছরের নির্বাচিত কাউন্সিলর, দুই বছরের ভাইস চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন ব্যানার্জী এবছর পুরভোটে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান পদেরও দাবিদার ছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান তো দূরের কথা গতকাল পূর্ণাঙ্গ পুর বোর্ডেও স্থান পান নি তিনি। এরপরেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন তপন বাবুর অনুগামীরা পোস্টার দিয়েছেন এমনটাই মনে করা হলেও এটা চক্রান্তও হতে পারে বলে অভিযোগ করলেন তপন বাবু।
তিনি বলেন, “এই ধরণের রাজনীতি আমি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করি না, সমর্থনও করি না। কে করেছেন কেন করেছেন তা আমার জানা নেই।”
এদিকে পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কংগ্রেসের টাউন ব্লক সভাপতি অম্লান মুন্সী বলেন,” সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে যেভাবে পুরসভার পূর্ণাঙ্গ বোর্ডের নাম একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করল এটা সংবিধানকে মানা হয়নি। কেউ বা কারা তাদের অনুগামীদের দিয়ে এই ধরণের পোস্টার টাঙিয়েছে সেটা ওদের দলের বিষয়। তবে আমার মনে হয় এটা ওই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল, তারাই নাগরিক সমাজের নামে পোস্টারগুলো লাগিয়েছে।”
বিজেপির টাউন ব্লক এক সভাপতি মনোজ কুমার শাহ এই প্রসঙ্গে বলেন,”তৃণমূলের লোকেরা লুটেপুটে খাচ্ছেন। যারা এই লুটেপুটে খেতে পারছে না তারাই হয়তো পুরসভার পোস্টার দিয়েছে।”
এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, “এটা বিরোধীদের চক্রান্ত আমাদের দলকে ভাঙার পরিকল্পনা।”