জলপাইগুড়ি : রাত পোহালেই বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর পূজা। এবার দুদিন পড়েছে সরস্বতী পূজা, রবিবার ও সোমবার। এই উৎসবের রঙিন প্রস্তুতির নেপথ্যে রয়েছেন মৃৎ শিল্পীরা, যাদের নিরলস পরিশ্রমে ফুটে উঠছে দেবীর মূর্তি। শনিবার সকালে দেখা গেল টোটোয় চাপিয়ে বাজারে সরস্বতী মূর্তি পাঠানোয় ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা। শহর সংলগ্ন পাটকাটা কলোনি থেকে সরস্বতী মূর্তি দিনবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে চলেছেন তারা।
৩০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে আসা পাটকাটা কলোনির মৃৎ শিল্পী হারান পাল জানান, এবার তিনি ১০০টি ছোট আকারের মূর্তি তৈরি করেছেন, যার দাম ১০০ থেকে ৩৫০ টাকা। “একটি মূর্তি গড়তে কয়েক দিন লেগে যায়, কিন্তু পরিশ্রমের তুলনায় আয় নগণ্য,” বলেন তিনি। বংশপরম্পরায় এই পেশায় থাকলেও বাজারে দাম বাড়েনি উল্লেখযোগ্য হারে। “সরস্বতী পূজোয় ব্যবসায়ীরা লাভ করুক, কিন্তু আমাদের ভাগ্যে জোটে কষ্টের মূল্য,” যোগ করেন হারান।

বাজারে ছোট-বড় নানান দামের মূর্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে ছোট আকারের মূর্তির। পূজো কমিটিগুলির আনাগোনায় সরগরম মৃৎশিল্পীদের কর্মক্ষেত্র। তবে শিল্পীরা জানাচ্ছেন, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং শ্রমিক সংকটের মধ্যেও মূর্তি তৈরির কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
বাজার ভালো হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের। অন্যদিকে, শিল্পীদের দাবি, সরকারি সহায়তা বাড়লে এই শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব। উৎসবের আবহে মুখর এলাকাগুলি, কিন্তু মৃৎ শিল্পীদের কষ্টের গল্প মনে করিয়ে দিচ্ছে নানান প্রশ্নের।