জলপাইগুড়ি : সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মেয়ের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে সদর ব্লকের বেলাকোবার সাঙ্গী পাড়ায়।

মৃতার পরিবারের দাবি, প্রায় ছয় বছর আগে রাজগঞ্জ ব্লকের চাউলহাটি তোসর পাড়ার শান্তনা রায়ের সঙ্গে বেলাকোবার হরেকৃষ্ণ রায়ের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শান্তনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত বলে অভিযোগ।

গতরাতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। শান্তনাকে হত্যার পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

মৃতার বাবা বীরেন্দ্রনাথ রায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল, ওদের পাঁচ বছরের একটা ছোট মেয়ে আছে। জামাই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। এর আগেও মেরেছে, এবার শেষ করে দিল। আমরা এর কঠোর শাস্তি চাই।”

শান্তনার আত্মীয় হিলিপ কুমার রায় বলেন,
“অভিযুক্তের চালচলন ভালো ছিল না, অন্য নারীদের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। শান্তনা প্রতিবাদ করত, তাই তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ রায়কে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।