বিশ্বজিৎ নাথ : কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ কমিশনার অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে জমায়েত হয়ে বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিছিল শুরু করে করে। সেই মিছিল চিড়িয়ামোড় অতিক্রম করতেই বিটি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি বেধে যায় পুলিশের। বিজেপির কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ কমিশনারের দিকে কিছুটা এগিয়ে যায়। পুলিশ কমিশনার অফিসের অদূরে পুলিশ ফের ব্যারিকেড করে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়। সেখানেই তাঁরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উক্ত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘সিপি অফিস ঘেরাও করে রাখা তাদের উদ্দেশ্য নয়। কিংবা তাঁরা সিপির কাছে ডেপুটেশনও দিতে আসেনি। তাঁরা কিছু বলতে এসেছিলেন। সেটা তাঁরা বলেছেন। পুলিশের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, জলকামানের ভয় দেখিয়ে আমাদের আটকোনো যাবে না। ব্যারাকপুর মঙ্গলপান্ডের মাটি। ব্যারাকপুর বিদ্রোহের ভূমি। ভয় দেখিয়ে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না। তাঁর সংযোজন, কসবার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মমতা ব্যানার্জি কাউন্সিলর ‘দেবা’কে ময়দানে নামিয়েছে। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে কেনার চেষ্টা চলছে। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় জাইব আহমেদকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে মমতা ব্যানার্জি সনাতনীদের জব্দ করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া ঘটনার মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র নাকি কমরেড সূর্যকান্ত মিশ্রের ভাইপো। এটাও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন তিনি আরও বলেন, বিহারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে। এখানেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোট হবে। জেহাদিরা মমতা ব্যানার্জিকে জেতাতে পারবে না। দেড় কোটি জেহাদিকে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে পাঠানো হবে। এদিন সিপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, প্রাক্তন জেলা সভাপতি তাপস ঘোষ, বিজেপি নেতা প্রিয়াবঙ্গু পান্ডে, কৌস্তভ বাগচী, সঞ্জয় সিং, সুদীপ্ত দাস, সন্তোষ রায়, অমিত চৌবে প্রমুখ।
