সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৭ অক্টোবর’২৩ :
বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারে জলপাইগুড়ি জেলার এবারের কার্নিভালকে কেন্দ্র করে উৎসবের রূপ নিল শহর। ১৪টি পুজো কমিটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে নজর কাড়লো জলপাইগুড়ি জেলাবাসীর। পুজোর পর কার্নিভালকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি শহরে উৎসবের রূপ নেয় এদিন বিকেল থেকে। কার্নিভালকে কেন্দ্র করে পুলিশের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সক্রিয়তা ছিল চোখে পরার মতো ।

জলপাইগুড়ি ক্লাব রোডে একটি মঞ্চ করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী ও অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, জেলা শাসক সামা পারভিন, জলপাইগুড়ি রেঞ্জের আইজি অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী, জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গনপত, পুরমাতা পাপিয়া পাল, জেলাপরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন, বিধায়ক খগেশ্বর রায়, বিধায়ক প্রদীপ কুমার বর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা এবং বিশিষ্টজনরা।

উল্লেখ্য, গত বছর মালবাজারের দশমীর ঘাটে মাল নদীর হরপা বানে মৃত্যু হয়েছিলো ৮ জনের। সেই মর্মান্তিক ঘটনায় দুর্গা পুজার কার্নিভাল স্থগিত রাখে জলপাইগুড়ির জেলাবাসী। এদিন বিকেলের পর জলপাইগুড়ি শহরের ১৪ টি পুজা কমিটির প্রতিমা নিয়ে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় পিডাব্লুডি মোড় থেকে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বড় পোস্ট অফিস মোড়, গান্ধী মোড়, ক্লাব রোড হয়ে কিংসাহেব ঘাটে হাজির হয় পুজো কমিটির সদস্য সদস্যা ও প্রতিমা। কার্নিভালে অংশগ্রহণকারী যে সকল পুজো কমিটির শোভাযাত্রা ভালো হবে তাদের বেছে পুরস্কৃত করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে।

এই কারণে বাংলা ও জেলার বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় পুজো কমিটির তরফে। শোভাযাত্রায় আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে মিকি মাউস, চা বাগানের পাতা তোলা, চা বিলি, বাঙ্গালীর ঐতিহ্য এবং ভাবধার ফুটিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। কিং সাহেব ঘাটে করলা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জলপাইগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে কার্নিভালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান নির্ণয়কারীদের নাম ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য প্রথম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দিশারী ক্লাব, দ্বিতীয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পান্ডাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটি এবং তৃতীয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কদমতলা দুর্গাবাড়ি । পুরসভার পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর সন্দীপ মাহাতো বলেন কয়েক দিনের মধ্যে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে পুরসভার পক্ষ থেকে।