স্পোর্টস ডেস্ক : অহমদাবাদে যেন ঝড় উঠল ব্যাটে-বলে গুজরাত টাইটান্সের। ব্যাটিংয়ে ঝলসে উঠলেন সাই সুদর্শন, আর বোলিংয়ে একসঙ্গে তাণ্ডব চালালেন সিরাজ, রশিদ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। যার ফল, রাজস্থান রয়্যালসের করুণ পতন—২১৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৮ রানেই শেষ পুরো দল।
টস জিতে গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শুরুতেই শুভমন গিলের (২) উইকেট হারায় গুজরাত, কিন্তু সাই সুদর্শন ও জস বাটলার দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে মোড় ঘুরিয়ে দেন। সুদর্শনের ব্যাটে আসে ঝকঝকে ৮২ রান, মাত্র ৫৩ বলে। তিন ছক্কা ও আটটি চারে সাজানো সেই ইনিংস ছিল টিমের ভিত। পাশে ছিলেন বাটলার (৩৬), আর মিডল অর্ডারে শাহরুখ খান (২০ বলে ৩৬), রাহুল তেওয়াটিয়া (১২ বলে ২৪) ও রশিদ খান (৪ বলে ১২)। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ২১৭ রানে পৌঁছায় গুজরাত।
তবে ম্যাচের মোড় ঘোরে রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে। শুরুতেই জয়সওয়াল (৬) এবং নীতীশ রানা (১) বিদায় নেন। আরশাদ খান ও সিরাজের আঘাতে ১২ রানেই পড়ে যায় দুই উইকেট। যদিও সঞ্জু-রিয়ান জুটি কিছুটা আশা জাগায়, কিন্তু সেই স্বপ্নও ভেঙে যায় খেজরোলিয়ার বলে। রিয়ানের বিতর্কিত আউট নিয়ে কিছুটা নাটক তৈরি হলেও রাজস্থানের ব্যাটিং তখন টালমাটাল।
সঞ্জু (৪১) ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ধ্রুব জুরেল, শুভম দুবে—সবাই ফিরে যান কম রানে। রশিদ খান তুলে নেন দুটি উইকেট, প্রসিদ্ধ পান তিনটি। এক কথায়, গুজরাতের বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি ধরাশায়ী রাজস্থান।
ম্যাচের শেষে স্পষ্ট হয়ে যায়—শুধু বড় রান তুললেই হবে না, সেই রানকে ডিফেন্ড করতে দরকার ছন্দে থাকা বোলিং ইউনিট। আর গুজরাত সেটা দেখিয়ে দিল নিখুঁতভাবে। রাজস্থানের ব্যাটিং লাইন আপ যেন প্যাভিলিয়নের টিকিট কেটে নেমেছিল।
এই হারে শুধু পয়েন্ট হারাল না রাজস্থান, প্রশ্ন উঠল তাদের মানসিক দৃঢ়তা নিয়েও। অপরদিকে, গুজরাত দেখিয়ে দিল, তারা কেন টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট।