কিবরিয়া হোসেন, ধুপগুড়ি, ২ জানুয়ারি’২৪ : বছরের প্রথম দিনের আনন্দ উপভোগ করতে একেবারে নদীর ওপর রেল ব্রিজেই চললো বর্ষবরণের হুল্লোড় ! আট থেকে আশি কিংবা কোলে সন্তান নিয়ে মা, প্রচুর মানুষের ভিড়ে এভাবেই চলল জীবন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বর্ষবরণ ! ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জলঢাকা নদীর ওপর রেলের সেতু, যে সেতু উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে যোগাযোগের অন্যতম ব্যস্ত রেলপথ।

মালগাড়ি থেকে শুরু করে প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস ট্রেন, এমনকি বন্দে ভারত নিঃশব্দে ইলেক্ট্রিকে চলা দ্রুতগামীর বহু ট্রেন চলে এই রুটেই। শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্য দিবালোকে খোলা আকাশের নিচেই চলে মদ্যপদের তাণ্ডব। প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন ও রেলওয়ে আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও চলতে থাকে দেদার হই হুল্লোড় । জলঢাকা নদীর উপর এই দুই রেলওয়ে ওভার ব্রিজের ঢিল ছড়া দূরত্বেই রয়েছে ময়নাগুড়ি থানার অন্তর্গত একটি আউটপোস্ট। যেখানে স্বল্পসংখ্যক কর্মী।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে জি আর পির ওসিকে ফোন করা হলে তিনি দ্রুত ফোর্স পাঠাচ্ছেন বলেন। অন্যদিকে ধুপগুড়ি রেল স্টেশন মাস্টার জানান এখানে যে এমন জনসমাগম হবে তা সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কোনোভাবে অবগত করাননি। এদিকে আবার স্থানীয় কিছু যুবকের কীর্তনের নামে বলপূর্বক চাঁদা তোলা হিড়িক! প্রশ্ন হল, প্রশাসন কবে শিক্ষা নেবে! সেতুর ওপর আবার একটা বড় অঘটন ঘটার পর কি? আর কবে সচেতন হবে হাতের মুঠোয় মৃত্যু নিয়ে হুজুগে নাচা সাধারণ মানুষ!