সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৫ ডিসেম্বর’২৩ : জলপাইগুড়ির ভুয়ো নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্নধার তথা মূল অভিযুক্ত শান্তনু শর্মাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলো জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। উল্লেখ্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর শহরের পাণ্ডা পাড়ার ‘ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে ‘ভুয়ো’ প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন সেন্টারের কর্ণধার। অভিযোগ উঠতেই মূল অভিযুক্ত শান্তনু শৰ্মা ছিলেন পলাতক। এদিন কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ভুয়ো নার্সিং সেন্টারের কর্নধার শান্তনু শর্মাকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতের কোর্ট হাজতে নিয়ে আসতেই আদালত চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হলেন সেন্টারের প্রতারিত ছাত্রীরা। ব্যানার হাতে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে তারা।

এদিন আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৩ তারিখ এই মামলার অভিযুক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করে এবং জামিনের আবেদন করে। কিন্তু জামিন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আজ পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। আদালত ১০ দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

অন্যদিকে আদালত থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় শান্তুনু শর্মা নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বলেন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি পলাতক ছিলেন না, বাইরে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, জলপাইগুড়িতে আরো অনেক সেন্টার আছে, সেগুলোর কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হোক। তিনি চান সম্পূর্ণ তদন্ত হোক।