জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির পলিটেকনিক কলেজের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী কেয়া রায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার সরাসরি অভিযুক্ত হলেন কোচবিহারের শীতলকুচির বাসিন্দা পরিমল বর্মন। বৃহস্পতিবার মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ওই যুবকের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, কেয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন পরিমল। কিন্তু সম্প্রতি কেয়া জানতে পারেন পরিমল বিবাহিত। সেই আঘাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে হোয়াটসঅ্যাপে আত্মহত্যার বার্তা লিখে বুধবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর পথ বেছে নেয় কেয়া।
এই ঘটনায় বান্ধবীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় তিন সহপাঠী ছাত্র। ভুল বোঝাবুঝির জেরে প্রথমে স্থানীয়রা তাদের আটক করলেও পরে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ তাদের মুক্তি দেয়। কেয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা এই তিন ছাত্রের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন প্রতিবেশীরাও।
এদিন পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় পরিমল বর্মনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, প্রেমিকের বিবাহিত পরিচয় প্রকাশ্যে আসাই কেয়ার আত্মহত্যার প্রধান কারণ।