সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৯ অক্টোবর’২৩ :
জেলে গিয়েই অসুস্থ বোধ করেন তৃণমূল যুব নেতা সৈকত চ্যাটার্জী। বুধবার রাতেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আপাতত সেখানকার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এদিকে সৈকত চ্যাটার্জীর জেল হেফাজত প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির সাংসদ ডক্টর জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, যে যেমন কাজ করেছে তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে। কিন্তু বারবার আমাদের দলের নাম এর সাথে জড়ানো হচ্ছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। বরং দুর্ভাগ্য, আমাদের এমএলএ শিখা চ্যাটার্জির ভাই এবং তার স্ত্রী একসাথে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। মানুষ সব দেখছেন, বিচার হচ্ছে। আইনের চোখে সবাই সমান। দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে। আবার নির্দোষ হলে অবশ্যই মুক্তি পাবেন।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। সুইসাইড নোটে সৈকত সহ চারজনকে দায়ী করে যান দম্পতি। বাকি তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও এতদিন অধরাই ছিলেন সৈকত। দু দিনের পুলিশ হেফাজতের পর বুধবার রিমান্ড শেষে সৈকত চ্যাটার্জীকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড না চাইলেও জামিনের আবেদনের বিরোধীতা করেন সরকারি আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত জামিন নামঞ্জুর করে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আপাতত পুজোটা জেল হেফাজতেই কাটাতে হবে জলপাইগুড়ি পুরসভা উপ পুরপ্রধান তথা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জীকে।