শিলিগুড়ি : একদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যদিকে শহরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলর—এই দ্বৈত ভূমিকায় পরিচিত রঞ্জন শীলশর্মা ফের সংবাদের শিরোনামে। সোমবার শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা।
অভিযোগ, এক শিক্ষককে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আপার প্রাইমারিতে বদলি করা হয়েছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। এই ‘অন্যায়’ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রঞ্জন শীলশর্মা, যিনি নিজেও একজন শিক্ষক ও পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রভাবশালী কাউন্সিলর।

সংসদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তৈরি হয় উত্তেজনার পরিস্থিতি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রঞ্জনবাবু চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন এবং ক্ষোভে টেবিলে ঘুষি মারেন। অফিস ঘেরাও করে ব্যাপক চাপে ফেলে দেওয়া হয় প্রশাসনকে।
এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে— একজন জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষক হিসেবে তাঁর এমন প্রকাশ্য রোষ কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? যে মানুষ আদর্শ স্থাপন করবেন, শিক্ষার পরিবেশ গঠনে থাকবেন অগ্রণী, তাঁর হাত থেকেই যদি ছুটে যায় সংযমের রাশ—তবে শিক্ষার ভবিষ্যৎ কোথায় দাঁড়িয়ে?
শিক্ষা মহলে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, “আবেগ থাকতে পারে, কিন্তু দায়িত্ববোধ হারালে চলবে না।” কেউ আবার বলছেন, “এটা রাজনীতির প্রভাব শিক্ষাঙ্গনে ঢোকার বিপজ্জনক ইঙ্গিত।”
এখন দেখার, এই ঘটনার তদন্ত ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ কীভাবে নেয় শিক্ষা দফতর ও প্রশাসন।