সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চড়া দামে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিতে না পারায় কাঁধে মৃতদেহ কাণ্ডে সাহায্যকারী সমাজসেবী অঙ্কুর দাসকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের পর অবশেষে আজ রবিবার আদালত জামিন দিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ ই জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে তুলে বাড়ির পথে হেঁটেছিলেন ক্রান্তি ব্লকের জয়কৃষ্ণ দেওয়ান ও তার ছেলে রাম প্রসাদ দেওয়ান বলে জয়কৃষ্ণ বাবু দাবী করেছিলেন। কারণ প্রসঙ্গে হাসপাতাল থেকে কোনো শববাহী গাড়ি না পাওয়ায় এবং বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দাবী মতো অর্থের জোগাড় করতে না পারাকেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরে ছিলেন তিনি। এরপর গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই কাঁধে নিয়ে যাওয়া মৃতদেহটিকে তাদের সংগঠনের শববাহী গাড়িতে তুলে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন সমাজসেবী অঙ্কুর দাস। এরপরেরই ঘটনা মোড় নেয় অন্য দিকে, ঘটনার পরদিন অ্যাম্বুলেন্স চালক ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে সমাজসেবী অঙ্কুর দাসের নামে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সমাজসেবী অঙ্কুর দাসকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়। রবিবার অঙ্কুর দাসকে ফের আদালতে তুলে পুলিশ আরো পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের দাবি করে বলে জানা যায়। কিন্তু আদালত সব পক্ষের কথা শুনে অঙ্কুর দাসকে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেয়।
স্বামীর জামিনে মুক্তির পর স্ত্রী সুরভী দাস বলেন, তিনি খুশি। সত্যের জয় হল। স্বামী সমাজসেবা করে যাবেন বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে সমাজসেবী অঙ্কুর দাস বলেন, প্রভাবশালীদের চাপে পুলিশ যে কাজটা করলো এটাকে আমি নিন্দা জানাই। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার জন্য যে চেষ্টাটা হয়েছে এই ছয় দিন এটা দুঃখজনক। জলপাইগুড়ির মানুষ যেভাবে আমার পাশে ছিলেন তার জন্য তাদের কুর্নিশ। কৃতজ্ঞ আমার সংগঠনের সদস্য এবং যেসব সংগঠন আমার জন্য রাস্তায় নেমেছে তাদের প্রতি। প্রথম দিন থেকে বলে আসছি যে সত্যের জয় হবেই। আজ জলপাইগুড়িতে ধর্মের পক্ষে জয় হয়েছে। গ্রীন জলপাইগুড়ির সমাজসেবামূলক কাজ অব্যাহত থাকবে। এই ঘটনায় প্রকৃত দোষী যারা তারা যেন শাস্তি পায় সেজন্য আমরা লড়াই করবো।