জলপাইগুড়ি, ২ মে: ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘিরে যখন গোটা জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে হতাশার ছায়া, তখন সেই অন্ধকারে এক টুকরো আলো হয়ে উঠল সোনাউল্লা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র কৌশিক ঘোষ। জেলার সম্ভাব্য প্রথম স্থানে থাকা এই ছাত্রটি পেয়েছে ৬৮৪ নম্বর। মেধা তালিকায় মাত্র ২ নম্বরের জন্য জায়গা না পেলেও, কৌশিকের এই সাফল্য যেন স্বস্তির বাতাস এনে দিল জেলা জুড়ে।

কৌশিকের বাড়ি শহরের ইন্দিরা গান্ধী কলোনিতে। বাবা পেশায় একজন ছোট ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে কৌশিক। তার কথায়, “প্রত্যাশা ছিল রাজ্যস্তরের মেধা তালিকায় থাকার। মাত্র দুই নম্বরের জন্য তা হয়নি—তাই রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এই সাফল্য ভবিষ্যতের পথে অনুপ্রেরণা।”
সোনাউল্লা স্কুলে আনন্দের আবহ। প্রধান শিক্ষক অনির্বাণ সেন বলেন, “আমরা গর্বিত। কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি কৌশিকের চোখেমুখে। জেলার হতাশার মাঝে এই সাফল্যই আমাদের প্রাপ্তি।”
জেলার সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ময়নাগুড়ি গার্লস স্কুলের ছাত্রী ঐশিকী দাস (৬৮৩) এবং তৃতীয় স্থানে যুগ্মভাবে ত্রিদিপ্ত রায় চৌধুরী (জেলা স্কুল) ও রঙ্গন সেন (ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়), দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২।
তবে সার্বিক ফলাফলের বিচারে জলপাইগুড়ি এবার রাজ্যের সবথেকে বেশি ফেল হওয়া জেলা হিসেবে উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে জেলার শিক্ষা পরিকাঠামো ও পঠনপাঠনের মানকে আরও উন্নত করা যায়।
কিন্তু এই দুঃসময়ের মাঝেই কৌশিক ঘোষের মতো ছাত্ররা প্রমাণ করে দেয়—আলোর পথ একদম হারিয়ে যায়নি।