জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনকে আধুনিক রূপ দিতে ব্যবসায়ীরা কয়েক দশকের পুরোনো জায়গা ছেড়ে নতুন জায়গায় ব্যবসা গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন। রেলের “অমৃত ভারত” প্রকল্পের অধীনে স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন ছিল স্টেশন বাজারের জমি। ফলে স্বেচ্ছায় দোকানঘর ভেঙে নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হলেন ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আলাদা প্রবেশ ও বার হওয়ার পথ, আধুনিক বিশ্রামাগার, ওয়াইফাই পরিষেবা, প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ এবং একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নেন, তারা নিজেদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নেবেন।
বর্তমানে বাজারটি অস্থায়ীভাবে রেলের পুকুরের ধারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যেখানে ব্যবসায়ীরা আবারও নতুনভাবে বেচাকেনা শুরু করেছেন। মাছ-মাংস থেকে সবজি— সবকিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে নতুন জায়গা নির্ধারিত হলে সেখানে বাজার পুনরায় স্থাপিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সাল থেকে রেলের জমিতে চলা স্টেশন বাজারে বর্তমানে প্রায় ৬০০-র বেশি ব্যবসায়ী রোজগার করেন। শুধু জলপাইগুড়ি নয়, হলদিবাড়ি, ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ-সহ আশপাশের অনেক ছোট ব্যবসায়ী এই বাজারের ওপর নির্ভরশীল।
উন্নয়নের স্বার্থে পুরোনো জায়গা ছেড়ে নতুন জায়গায় ব্যবসা শুরু করলেও, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশাবাদী যে একদিন আরও ভালো পরিকাঠামোতে বাজারটি গড়ে উঠবে এবং আগের চেয়ে আরও বেশি ব্যবসার সুযোগ মিলবে।