সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জেলা সম্মেলনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের আক্রমণের মুখে পড়তে হল ছাত্র সংগঠন ডিএসও কর্মীদের বলে অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি শহরের আনন্দ চন্দ্র কলেজে। বুধবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিএসও’র দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আক্রান্তের মধ্যে একজন মহিলা সদস্যও রয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। অভিযোগ DSO জেলা সম্মেলন উপলক্ষে বুধবার বেলার দিকে এসি কলেজের গেটে হ্যান্ডবিল বিতরনের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছিলেন DSO কর্মীরা। দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা।

শুরু হয় বাদানুবাদ। বাদানুবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। আর এতেই জখম হয় কয়েকজন DSO কর্মী। এদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পরে সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএসও তরফে জানানো হয়, ১এপ্রিল সমাজ পাড়ায় স্টুডেন্ট হেলথ হোমে ডিএসও’র জেলা সম্মেলন রয়েছে। শিক্ষা নীতি প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ডিএসও’র তরফে ছাত্র ছাত্রীরা প্রচার চালাচ্ছেন। এদিন আনন্দ চন্দ্র কলেজের গেটের সামনে তিনজন ডিএসও সদস্যও প্রচার চালাচ্ছিলে সঙ্গে লিফলেটও দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে আক্রমণ করা হয়।

ডিএসও শহর কমিটির সভাপতি কুনাল রায় ও ডিএসও শহর ব্লক সম্পাদিকা সুনীতা মুর্মুকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এদিকে মারধরের ভিডিয়ো স্যোশাল মিডিয়ার ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠে। এ দিন কুনাল বলেন প্রচারে গিয়েছিলাম আনন্দ চন্দ কলেজে। তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী মারধর করে আমাদের উপর। জেলা পার্টি অফিসে এসেও আক্রমণ করে। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

অপরদিকে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের এক মহিলা কর্মী কলেজে ঢোকার সময় তাকে জোর করে দাঁড় করিয়ে প্রচার করছিলো DSO কর্মীরা। ছাত্রী বলে তার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু সেই কথায় কর্নপাত না করে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখলে শুরু হয় বাদানুবাদ। আনন্দ চন্দ্র কলেজের তৃণমূল ছাত্র ইউনিটের সভাপতি অনিকেত প্রসাদ বলেন কলেজে এসে ছাত্রদের হেনস্তা করছিল ডিএসও। এই কারণে এমনটা ঘটেছে।

বিষয়টি নিয়ে এসএফআই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তীব্র নিন্দা করেন।
