সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : একদিকে মারণ থ্যালাসেমিয়া, তার ওপর বড় প্লীহা গবগব করে খেয়ে নেয় রক্ত। রক্তখাদক প্লীহাকে কেটে বাদ দিয়ে রুগীকে বাঁচার পথ দেখালো জলপাইগুড়ির একদল দামাল চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার সকাল হতেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছে যান চিকিৎসক উৎপল দত্ত। এরপর একে একে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক রজত ভট্টাচাৰ্য সহ তুহিন শুভ্র মন্ডল, ডাঃ সৌমেন মন্ডলের মতো চিকিৎসকদের পুরো টিম। ততক্ষনে ডাঃ দীপঙ্কর দত্ত, পুরো দলকে আশ্বস্ত করেন বেডে শুয়ে থাকা বছর সাতের মোহাম্মদ শামীম অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে।
এরপরেই জলে ওঠে অপারেশন থিয়েটারের জোরালো আলো, শুরু হয় অপারেশন। একদিকে মারণ থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত নাসিমের ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকা প্লীহাকে শরীর থেকে কেটে বাদ দেবার মতো জটিল অপারেশন। এই সফল অপারেশনের পর সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসেন সার্জেন রজত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুরো দলটি।

ঘটনা প্রসঙ্গে ডাঃ রজত ভট্টাচাৰ্য বলেন, এই শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত, যার ফলে শরীরে রক্তের সংকট থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু এই ছোট্ট শামীম এর ক্ষেত্রে তার থেকেও বড় সমস্যা হয়ে উঠেছিল পেটে থাকা প্লীহার একটি বিশেষ অসুখের কারণে ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটছিল যার ফলে এই রুগীর শরীরে বাইরে থেকে দেওয়া রক্ত দ্রুত খেয়ে ফেলছিল প্লীহা একদিকে থ্যালাসেমিয়া ওপর দিকে পেটে থাকা রক্তখাদক প্লীহা দুটো মিলিয়ে এই রুগীর জীবনরেখা ক্রমশই ছোটো হয়ে আসছিলো। আজ সফল অপারেশন করে ওই রাক্ষুসে প্লীহাকে শরীর থেকে বাদ দেওয়া হলো।

নিজের নাতির এই সফল অপারেশন প্রসঙ্গে খুশি প্রকাশ করেন জলপাইগুড়ি জেলার কোনপাকড়ি গ্রামের বাসিন্দা নজিমা খাতুন।