নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ জুন ২০২২ : এ যেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সুমিত্রা দাস কিন্তু তিনিও নানা চর্মরোগ জাতীয় রোগে আক্রান্ত তাই বৃদ্ধ বয়সে সুদূর বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি শহরে এসে ভিক্ষাবৃত্তি করতে হচ্ছে তাকে। সুমিত্রা দাস জলপাইগুড়ি হলদিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।

বহুবার সরকারি সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি কিন্তু কোনো সুরাহা মেলে নি। এমনকি লক্ষীর ভান্ডারের জন্য বহুবার আবেদনও করেছেন তিনি কিন্তু সে গুড়েও বালি। তার অভিযোগ পঞ্চায়েতের কাছে বিভিন্ন সরকারি সাহায্যের আবেদন করলে তিনি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার আরও অভিযোগ পঞ্চায়েতের কাছে লক্ষীর ভান্ডারের কাগজ পাঠালে সেগুলো তিনি দেখেননি। তাই শেষ বয়সে জলপাইগুড়িতে শহরে এসে দোকানে দোকানে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করতে হচ্ছে তাকে। হাতে, পায়ে এবং মুখে চর্মরোগ জনিত রোগের কারণে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না তিনি, এমনকি হাঁটাচলা করতেও অসুবিধা হয়। এমত অবস্থায় একমাত্র ভরসা তার মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন জলপাইগুড়ি শহরের রাস্তায় রাস্তায়।

এ বিষয়ে সুমিত্রা দেবী জানান, তিন বছর ধরে এরকম সমস্যায় পড়ে আছি। ডাক্তার বলেছে চামড়ার সমস্যা। প্রচুর টাকা লাগবে। আমাদের যেখানে দুবেলা-দুমুঠো খাবার জোটে না সেখানে এত টাকা জোগাড় করবো কিভাবে। লক্ষীর ভান্ডারের জন্য বহুবার আবেদন করেছি কিন্তু তা পাইনি। পঞ্চায়েতকে বহুবার বলেছি তিনিও কিছু করতে পারছেন না। তাই এখন শহরের রাস্তায় রাস্তায় দোকানে দোকানে ঘুরে ভিক্ষা করছে। সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন রাখছি। অপরদিকে সুমিত্রা দাসের মেয়ে তুলসী দাস জানায়, মার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। বহুবার সাহায্যের আবেদন করেছি। কিন্তু কিছু হয়নি তাই এখন দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছি সাহায্যের আশায়।