জলপাইগুড়ি : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি এবং ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তিন যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। মূল অভিযুক্ত দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা অভিষেক রায়কে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অপর দুজন, বলরাম ঘোষ ও অমিত ঘোষ, যথাক্রমে নিউটাউন পাড়া ও মোহিত নগরের বাসিন্দা- তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মানিকগঞ্জ এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, ‘পুলিশ’ লেখা চারচাকা গাড়ি চড়ে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল এই তিন যুবক। কৌটিল্য বিওপি ও মহাদেব বিওপি’র মতো সংবেদনশীল জায়গায়, যেখানে কাঁটাতারের নিরাপত্তা নেই, সেখানে ঘোরাফেরায় সন্দেহ হয় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের।
সহকারি সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মূল অভিযুক্ত অভিষেক রায় নিজেকে কখনও আইবি, কখনও পিএম অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। অথচ তার কাছে কোনও বৈধ পরিচয়পত্র ছিল না। বিএসএফ মোবাইল ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে।”
অন্যদিকে অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী অভিজিৎ সরকার বলেন, “বিএসএফের দাবি, অভিযুক্তরা নিজেদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক বলেছিল। অথচ প্রথমে এটি জামিনযোগ্য ধারা ছিল, পরে জামিন অযোগ্য করে দেওয়া হয়।”

ঘটনার তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এখনও স্পষ্ট নয় কেন সীমান্ত এলাকায় ওইভাবে ঘোরাঘুরি করছিল ধৃতরা এবং কী উদ্দেশ্যে ভুয়ো পরিচয় দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার নেপথ্যে কোনও চক্র বা গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
