সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১১ ফেব্রুয়ারি’২৪ : সরস্বতী পুজো মানেই শীত প্রায় শেষের পথে। শীতের শেষ মরসুমে অস্থির মন পাহাড় যেতে চাইছে? মন খোঁজে নতুন ডেস্টিনেশন। নেট ঘাটতে ঘাটতে দিন পেরয়ে যায় কিন্তু ডেস্টিনেশন আর পছন্দ হয় না। আর চিন্তা নয়, আমরা দিচ্ছি আপনার মনপসন্দ ঠিকানা। এখানে গেলেই চোখে পড়বে এক দিকে ডুয়ার্সের জঙ্গল অন্যদিকে ভূটান পাহাড়।

এক ঘেয়েমি কাটাতে ঘুরে আসুন লাল ঝামেলা বস্তি থেকে। না না, নাম শুনে ঘাবড়াবেন না। একবার যদি সমস্ত দ্বিধা কাটিয়ে চলে আসেন তাহলে আর ফিরে যেতে চাইবেন না! এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন ভালো হবেই। এই বস্তির সঙ্গে কোনও মিল নেই মহানগরী কোনও ঘিঞ্জি বস্তির। নেই কোন “ঝামেলা-ও”।

একদিকে সবুজ চা বাগান আরেকদিকে যতদূর চোখ যায় ভুটান পাহাড়। ভারত ভুটানের সীমান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডায়না নদী। জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো বা ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে বন্য প্রাণীদের বিচরণ দেখার সেরা ঠিকানা এটি। সকালে নদীর কলকল শব্দে আর ভূটানের ঘন্টার আওয়াজেই ঘুম ভাঙে এখানকার পর্যটকদের।

এবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই বস্তির নাম লাল ঝামেলা বস্তি। সত্যি কি এখানে কোনও ঝামেলা হয়? না, এসবের কোনও বালাই নেই। শোনা যায়, চা বাগানের দুই আদিবাসী শ্রমিক নেতা লাল শুকরা ওরাও এবং ঝামেলা সিং এর নাম থেকেই বস্তির নাম লাল ঝামেলা বস্তি।

প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস এখানে। এলাকায় পৌঁছনো মাত্রই বস্তিবাসীরাই আপনাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাবেন টুরিস্ট স্পটে। তাহলে, এবার শীত শেষ হওয়ার আগে চলেই আসুন এই বস্তিতে।