জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে জেলা প্রশাসনের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু দোকানে খাবারের মান নিয়ে গুরুতর গাফিলতির প্রমাণ মেলে। পুরনো খাবার, পঁচা কেক, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে ক্ষুব্ধ হন খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।

এদিন বাবুপাড়ার একটি খাবারের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ফ্রিজে আমিষ ও নিরামিষ খাবার একসঙ্গে রাখা হয়েছে। ফ্রিজের মধ্যে বাসি খাবারও মজুত ছিল। এমনকি পঁচা কেক এবং ব্যবহারের অযোগ্য ময়দা পাওয়া যায়।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবাশীষ মন্ডল বলেন, “বেশ কিছু দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছে। ফ্রিজে ভেজ ও ননভেজ একসঙ্গে রাখা হয়েছে। বাসি খাবার ও পঁচা কেক পাওয়া গেছে। সেগুলো ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্দেশ না মানলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযোগ প্রসঙ্গে দোকানের কর্ণধার রঞ্জনা সাহা বলেন, “আমরা নিজেরা কারখানা পরিচালনা করি না, কর্মীদের মাধ্যমে কাজ চলে। বড়দিনের সময় কাজের চাপ বেশি থাকায় হয়তো কিছু ত্রুটি হয়েছে। তবে আমরা নিয়ম মেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
দেবাশীষ মন্ডল আরও জানান, শপিং মলে দাম বুঝতে না পেরে অনেক সময় ক্রেতারা বাধ্য হয়ে জিনিস কিনছেন। ক্রেতাদের উচিত পণ্য যাচাই করে কেনাকাটা করা। শপিং মল কোনোভাবেই ক্রেতার ফোন নম্বর দাবি করতে পারে না, এটি বাধ্যতামূলক নয়।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, ক্রেতাদের কাছে স্বাস্থ্যকর ও মানসম্মত খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ধরনের অভিযান চলবে। টাস্ক ফোর্সের এহেন পদক্ষেপে শহরের নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।