জলপাইগুড়ি : আবারও নিজেদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার কদমতলা চত্বরে অবস্থানে বসলেন ২০১৬ সালের এসএলএসটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কিন্তু চাকরি হারানো একঝাঁক শিক্ষক-শিক্ষিকা। হাতে প্ল্যাকার্ড, চোখে অনিশ্চয়তার ছায়া—তবু বিশ্বাসে অটুট তারা।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা চাকরিতে বহাল থাকতে পারবেন এবং নিয়মিত বেতনও পাবেন। তবে এই রায়কে ‘সাময়িক স্বস্তি’ বলেই মানছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা সেলিনা আখতার বলেন, “আমরা চাই, রিভিউ পিটিশনের আগে যেন ওএমআর শিটগুলিকে প্রমাণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হয়। আমাদের মতো হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী যেন আবার অপমানিত না হয়।”
তাদের মূল দাবি—সরকার যেন স্বচ্ছতা বজায় রেখে সার্টিফাইড ওএমআর কপি জমা দেয় আদালতে এবং অনলাইন পোর্টালে বাইশ লক্ষ ওএমআর-এর মিরর ইমেজ অবিলম্বে প্রকাশ করে। কারণ, এটুকু না হলে তারা কখনও নিশ্চিত হতে পারবেন না যে ন্যায়ের আলো শেষমেশ তাদের গায়েই পড়বে।
গ্রুপ সি-র কর্মী দীপক রজকও জানান, “আমরা কেউ অবৈধভাবে চাকরি করিনি। অথচ আমাদের আত্মসম্মান আজ প্রশ্নের মুখে।”
চাকরি তো বটেই, প্রশ্ন এখন জীবনের স্থিতি ও পরিচয়েরও। আন্দোলনকারীরা চান, রাজ্য সরকার এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করুক এবং সুপ্রিম কোর্টে শক্তিশালী তথ্য-প্রমাণ পেশ করুক।
জলপাইগুড়ির পথ আবার সাক্ষী থাকল একটি লড়াইয়ের। সেটি শুধু চাকরির জন্য নয়, নিজেদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।