শিলিগুড়িতে প্রথমবার উৎসবের আবহে “তরাই হিমালয়ান ফেস্টিভ্যাল”

শিলিগুড়ি : জলপাইগুড়ির হ্যাপি স্ট্রিটের মতো এবার শিলিগুড়ির হৃদয়ে প্রথমবার বেজে উঠল “তরাই হিমালয়ান ফেস্টিভ্যাল”-এর ঢাক। উৎসবের আমেজে মেতে উঠল গোটা শহর। সকাল থেকেই সেবক মোড় থেকে এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত রঙিন সাজে সেজে উঠেছিল রাস্তা। বেলুন, আলপনা, রঙিন পতাকার ছোঁয়ায় এক অন্যরকম চিত্র ফুটে উঠেছিল শহরের বুকে।

"Terai Himalayan Festival" in Siliguri for the first time in a festive atmosphere

দার্জিলিং জেলা প্রশাসন, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, পুলিশ কমিশনার সি সুধাকার, জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা এবং আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

সকাল থেকেই নাচ-গান, পারফরম্যান্স, প্রতিযোগিতা, ম্যাসকট আর বহুরূপীদের দেখা মেলে ফেস্টিভ্যাল চত্বরে। ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও আনন্দে মাতিয়ে তোলে নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বড় এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হয় ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ, যা দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা সৃষ্টি করে।

মেয়র গৌতম দেব বলেন, “প্রথমবার এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে, আগামী দিনে বড় পরিসরে আরও দীর্ঘ সময় ধরে এই উৎসব হবে।”

তবে এই উৎসবের কারণে সকাল থেকেই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থায় কিছুটা প্রভাব পড়ে। সেবক মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশ বন্ধ থাকায় যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও রবিবার থাকায় খুব বেশি যানজটের সমস্যা হয়নি।

জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, “এই উৎসব শুধু বিনোদন নয়, পর্যটন ক্ষেত্রেও শিলিগুড়িকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

এক দিনের এই উৎসবের রঙ যে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মনে থেকে যাবে, তা বলাই বাহুল্য। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই “তরাই হিমালয়ান ফেস্টিভ্যাল” শহরের ক্যালেন্ডারে স্থায়ী হয়ে উঠবে, সেই আশাই করছেন শিলিগুড়িবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *