জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত যুবককে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি, আদালত নাবালিকার পুনর্বাসনের জন্য লিগাল সার্ভিস অথোরিটির মাধ্যমে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক রিন্টু সুরের এই রায় বুধবার আদালতে ঘোষিত হয়।
২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর জলপাইগুড়ির মহিলা থানায় এক নাবালিকার মা অভিযোগ করেন যে তার মেয়েকে পড়শি এক যুবক ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সকাল ১১টা নাগাদ অভিযুক্ত যুবক তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। স্থানীয় পড়শিরা বিষয়টি নাবালিকার মাকে জানান। পরে, মা অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করেন এবং থানায় অভিযোেগ দায়ের করেন।
জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। মামলায় সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। বিচারক অভিযুক্তের সামাজিক পরিস্থিতি এবং তিন সন্তান থাকার বিষয়টি বিবেচনা করলেও অপরাধের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে ন্যূনতম সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
বিশেষ সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, “এই মামলার তদন্তে সাতজন সাক্ষীর বয়ান গ্রহণ করা হয়েছিল। নাবালিকাকে পুনর্বাসনের জন্য আদালত চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্তকে ন্যূনতম শাস্তি দেওয়া হলেও এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক রায়।”
এই রায় সমাজে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং নারী ও শিশুর সুরক্ষার বিষয়ে আদালতের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগীর পুনর্বাসনের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে।