অরুণ কুমার : উত্তর বঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার মাল নদীতে হরপা বানে নিহত পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষনা করা হয় মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে। টুইট করে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন যান বিজেপি সাংসদ সহ বিধায়করা। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শব করেন।
এদিনে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। উল্লেখ্য বুধবারের রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। তার মধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে ঘটে বড়সড় দুর্ঘটনা। মাল নদীতে নিরঞ্জন পর্ব চলাকালে হঠাৎই হড়পা বানে ভেসে যান অনেকেই। উদ্ধারকারী দল ও স্থানীয়দের সহযোগিতা উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
তবে রাত হওয়া উদ্ধারকাজ কিছুটা ব্যবহত হয়। নিখোঁজের খোঁজে এখনও সার্চ অপারেশান চলছে বলে জানা যায়। প্রবল জলস্রোতে ভেসে যাওয়াদের উদ্ধার করে মাল হাসপাতাল ও জলপাইগুড়িতে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলেও। ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর। ঘটনাস্থলে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা জানান, এখনও পর্যন্ত কোনো নিখোঁজের খবর নেই। আটজনের মৃত্যুর খবর রয়েছে। ১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। প্রত্যেকেই মাল সুপার স্পেশালিটি হাডপাতালে ভর্তি। এদিকে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনকে মুলত দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা। নদীপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা ও বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এর অভিযোগ। অপরদিকে শাসক তৃণমূল এর পদাধিকারীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তারা বলেছেন ,আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ তাদের পাশে আছি। এখনও কোনো নিখোজের খবর নেই তবু সার্চ অপারেশন চালানো হচ্ছে।