সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ জুলাই ২০২২ : হাত ও পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। এই অবস্থায় জলে ডোবা এক মাঝ বয়সি ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাজিদ পাড়া এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি, মৃতদেহ উদ্ধার করছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কে বা কারা খুন করে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে এখানে ফেলে গেছে কি না সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ?
বুধবার ভোরে স্থানীয় সাহেব বাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোজাহের আলী তার পুকুর দেখতে যান। পুকুর দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন ১৮/২১১ নম্বর বুথের বাজিদ পাড়ার চন্দমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কালভার্টের নিচে জলের মধ্যে একজনের দেহ কিছুটা ভেসে আছে। কিছুটা সামনে গিয়ে দেখেন হাত ও পা বাধা। পাশে রয়েছে জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি রুটের জাতীয় সড়ক। এরপর তিনি বিষয়টি দুজন বাইক আরোহীকে ডেকে জানান। খবর দেওয়া হয় পাশের গ্রামে। সাতসকালে বহু মানুষ ভিড় জমান এই মৃতদেহটিকে সনাক্তকরণ করতে।

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃত ব্যক্তির এখনো নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে কোথা থেকে এল এই মৃতদেহ সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনা তদন্তে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
গ্রামবাসী লুতফর রহমান বলেন,”রাত বারোটা একটা পর্যন্ত গ্রামবাসীরা জেগে থাকে। গভীর রাতে হয়ত এমনটা ঘটেছে। হাত পা বাঁধা ছিল। মৃতদেহের মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। সকলের অপরিচিত। নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ অফিসার শ্যামল দাস বলেন,” দেখে মনে হচ্ছে খুন৷ তদন্ত শুরু হয়েছে।”