‘বার কোড’ যুক্ত আই কার্ড ছাড়া আর জলপাইগুড়ি শহরে টোটো চালানো যাবে না। জানা গেল নতুন আই কার্ড প্রদানের দিনক্ষণ।

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : ১৫ই ডিসেম্বর থেকে জলপাইগুড়ি শহরে সাড়ে পাঁচ হাজার টোটো চালককে ‘বার কোড’ যুক্ত আই কার্ড বিলি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল পুর কর্তৃপক্ষ। শহর ও শহরতলীর চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা যাঁরা পেশায় টোটো চালক তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজ জমা নিয়ে এই কার্ড দেওয়া হবে দাবি কর্তৃপক্ষের।

উল্লেখ্য জলপাইগুড়ি শহরে এই মুহূর্তে বারো-তেরো হাজার টোটো চলছে। আর এই টোটোর দাপটে নাজেহাল শহরবাসী। নিত্যদিন যানজট ও দুর্ঘটনা হচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিক বার নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে টোটো যাতায়াতের দাবি তুলেছেন চালক সহ শহরবাসী। ২০২১ সালে পুর কর্তৃপক্ষ শহরের টোটো চালকদের আই কার্ড তুলে দিয়েছিলেন। সেই কার্ড নকল করার অভিযোগ উঠে একাংশ টোটো চালকদের বিরুদ্ধে। এরপরেই সব আই কার্ড বাতিল ঘোষণা করে পুর কর্তৃপক্ষ। এবার নকল আই কার্ড রুখতে ‘বার কোড’ যুক্ত আই কার্ড বিলি করার পথে হাঁটলো পুর কর্তৃপক্ষ। যারা অসংখ্য টোটো কিনে ব্যবসা করছেন তাঁদেরও একটি আই কার্ড দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পুর এলাকা ও শহর লাগোয়া অরবিন্দ, পাতকাটা, খড়িয়া ও পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক তাঁদের এই কার্ড দেওয়া হবে বলে দাবি।

জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী জানান, জলপাইগুড়িকে টোটোগুড়ি হতে দেওয়া যাবে না। তাই শহরে চলাচলের জন্য সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার টোটো কে বারকোড যুক্ত আই কার্ড ১৫ই ডিসেম্বর থেকে দেওয়া হবে।

আইএনটিটিইউসি’র টোটো সংগঠনের সভাপতি পূর্ণব্রত মিত্র জানান, টোটোর ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টিও যেন পুরসভা চিন্তা ভাবনা করে স্থির করে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করে বলেন, শহরে যানজট শুধু টোটোর জন্য হচ্ছে না। অস্থায়ীভাবে যেসব বাইক, গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে সেগুলোর বিরুদ্ধে পুরসভা ও সদর ট্র্যাফিক যৌথভাবে অভিযান চালায় তাহলে যানজট এড়ানো যাবে।

সিটু অনুমোদিত ই-রিকশা চালক ইউনিয়ন তরফে শুভাশিস সরকার বলেন, বারকোড যুক্ত পরিচয় পত্র অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। শুনছি শীঘ্রই সেই কার্ড টোটোচালকদের দেওয়া হবে। সেইসাথে টোটোর ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টিও যেন দ্রুত সমাধান করা হয় সেদিকেও নজর থাকবে।

দেখুন ভিডিও

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *