সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : রাজ্য সরকারের ফাঁকা কোষাগার ভরতে ৩৬ টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীরা। সঙ্কটগ্রস্ত রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের বেতনের জন্য এই অর্থ কাজে লাগবে বলে দাবি করেন তারা। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডে অবস্থিত এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রধান শাখার সামনে শিক্ষক ও কর্মচারীরা জমায়েত হয়ে ৩৬ টাকা প্রদানের কর্মসূচি পালন করেন। অন্যদিকে সাড়ে ছয় লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে দ্রুত পূরণের দাবি তোলা হয়। গণতন্ত্র বজার রাখারও দাবি উঠল। আন্দোলনকারীদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে ডিএ প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হলেও মানা হচ্ছে না। এই ডিএ প্রদান করা সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে। এর প্রতিবাদে কর্মবিরতি, ধর্মঘট করেও কাজ হয়নি। এই কারণে এদিন থেকে এক মাস ব্যাপি আন্দোলন শুরু হল।

রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীরা বলেন, তাদের ৩৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। এজন্য সারা রাজ্য জুড়েই সরকারকে ৩৬ টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মচারীরা।

এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও ১২ই জুলাই কমিটি সহ সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা ৩৬ টাকা করে সরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্ত্রীদের বেতন দেওয়ার জন্য এই অর্থ কাজে লাগবে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। যৌথ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে সারা রাজ্য জুড়েই এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানান তারা। যৌথ মঞ্চের আহবায়ক মনোজিৎ দাস বলেন, আমাদের আন্দোলন চলবে।

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি স্বপন বসাক বলেন, এই ধরনের আন্দোলন মানুষকে দেখানো ছাড়া আর কিছু না।এদের বাংলা থেকে বিতারিত করছে মানুষ। এটা লোক দেখানো প্রচার ছাড়া আর কিছুই না।