৬ দিন ধরে ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা গ্রাম

রাহুল মন্ডল, মালদা : ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা গ্রাম। ৬ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার পরেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম পানীয় জলের সংকট ও বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ৬ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগের মেরামতির কাজ না হওয়ায় খুব সমস্যায় পুরানো মালদার সাহাপুর পঞ্চায়েতের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় মূলত পানীয় জলের সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। দূর দূরান্ত থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রশাসনের কাছে বহুবার বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতির কাজের দাবি জানালেও এখনো পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, এত কষ্টের মধ্যে পড়ে রয়েছি ঘর বাড়ি নেই, বিদ্যুৎ নেই, জল নেই কিন্তু এখনো অব্দি পঞ্চায়েত প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন, থেকে কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি। ভোটের সময় অনেকেই এলাকায় এসে আমাদের কাছ থেকে ভোট চায়। এলাকায় প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস। আমাদের জল চাই, বিদ্যুৎ চাই। বাচ্চাদেরকে নিয়ে অন্ধকারে গরমের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে। পানীয় জল এক কিলোমিটার দূর থেকে আনতে হচ্ছে। এলাকায় তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ আসলে যে কোন সময় বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। জলের এত সংকট সেই ক্ষেত্রে পকুরের জলও ব্যবহার করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উত্তর মালদা বিজেপির সহ সভাপতি তাপস গুপ্ত জানিয়েছেন, শান্তিপুর এলাকার মানুষরা খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে। সরকারের থেকে বা প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। আমরা প্রথম দিন বিএসএফের মাধ্যমে জলের ট্যাংকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি এই সরকারকে। আজকে টাকা মারার ক্ষেত্রে তৃণমূলের আমলারা এগিয়ে আছে, কিন্তু মানুষের পরিসেবা দিতে পারছে না।

যদিও বিজেপির ওঠা অভিযোগটিকে মানতে নারাজ সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অনিক ঘো বলেন, শান্তিপুর এলাকার মানুষদের পাশে আমরা রয়েছি, আমরা এলাকায় জলের ব্যবস্থা জেনেটারের মাধ্যমে করেছি। বাড়ি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । আমরা ত্রিপল এর ব্যবস্থা করছি। বর্তমানে সেখানে লাইন নেই তার জন্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে তবে আমরা এই বিষয়ে যথেষ্ট তাদের পাশে রয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *