সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : উত্তরবঙ্গে প্রথম সবচেয়ে বড় শিব মূর্তি তৈরি হলো জলপাইগুড়ির বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুষাপাড়া /বানিয়াপাড়া পাঙ্গা নদীর ধারে বলে দাবি শিব মন্দির কমিটির। উচ্চতায় ৪৫ ফুট লম্বা। দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে একটি পূর্ণাঙ্গ কংক্রিটের মুর্ত্তি। আগামী ১৮ ই ফেব্রুয়ারী শিব চতুর্দশী উপলক্ষে নব নির্মিত শিব মুর্ত্তির বিগ্রহ প্রতিষ্ঠাতার পাশাপাশি শিব পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। শিবচতুর্দশীর পুজোকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার মানুষের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। পাশের অন্যান্যপাড়া থেকে যাতে ভক্তরা মন্দিরে শিবের পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন। মন্দিরে আসার জন্য নিজেরাই তৈরী করছেন বাঁশের সাকো।

উল্লেখ্য ঐ দিন শিব মুর্ত্তির বিগ্রহ প্রতিষ্ঠাতা উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্যদিয়ে পাঙ্গা নদীর জল বয়ে আনা হবে মন্দির কমিটির তরফে । হবে জলবরণ অনুষ্ঠান। সকালে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ওইদিনই দুপুরে মন্দিরে বসবে গীতা পাঠের আসর। ঐদিন সন্ধ্যায় শিব চতুর্দশী তিথিতে ধুমধাম করে শুরু হবে শিব পুজা। শিব চতুর্দশী উপলক্ষ্যে শিবের মাথায় জল ঢালার সময় হলে মহিলারা অনায়েসেই জল ঢালতে পারবেন এবং পুজো শেষে ভক্তদের মধ্যে খিচুড়ি ভোগ বিলি করা হবে বলে জানান মন্দির কমিটির সভাপতি তপন রায়। তিনি আরও বলেন এই মুর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শুধু শিবের পুজো হবে তা নয়। আমরা চাই এই পুজো ঘিরে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের ভাতৃত্ব গড়ে উঠুক,, মন্দির প্রাঙ্গণ ভরে উঠুক এতদঞ্চলের মানুষের মিলনক্ষেত্র।

এলাকার বাসিন্দা মহিলারাও খুশি! কনিকা রায়,নিলিমা রায় বলেন এখানে আমরা গ্রাম ঠাকুর পুজো দিয়ে আসছি। কিন্তু এলাকায় এত বড় শিব মুর্ত্তি তৈরী হবে স্বপনেও ভাবতে পারেনি। সামনে শিব চতুর্দশী আছে। এবার এখানেই আমরা শিবের মাথায় জল ঢালব। পুজা দেব জানান তাঁরা। আর এই নব নির্মিত শিব মুর্ত্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগেই ওই বিশাকার মুর্ত্তি দেখতে এখনোই ভিড় জমাচ্ছেন দুরদুরান্ত থেকে আসা ভক্তরা।