সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৫ জানুয়ারি’২৪ : এই প্রথম জলপাইগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে শুরু হয়েছে পুর উৎসব। শহরের মোট ২৫টি ওয়ার্ডের খুদে সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পীদের বিভিন্ন প্রতিভাকে তুলে ধরতে ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই উদ্যোগ বলে দাবি। জলপাইগুড়ি পুরসভার জন্ম ১৮৮৫ সালে। জলপাইগুড়ি শহরের বয়স ১৫৫ বছর। এই বছর প্রথম জলপাইগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে পুর উৎসব শুরু হয়েছে শহরের মাদ্রাসা ময়দানে। সোমবার জলপাইগুড়ি পৌর উৎসব উপলক্ষে অঙ্কন প্রতিযোগিতার আসর বসলো শহরের কদমতলা সংলগ্ন মাদ্রাসা ময়দানে। এদিন চারটি বিভাগে অঙ্কন প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগ (ক) প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি বিষয় যেমন খুশি আঁকো , বিভাগ (খ) চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী বিষয় যেমন খুশি আঁকো , সপ্তম থেকে নবম শ্রেণী বিষয় যেমন খুশী আঁকো এবং দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী বিষয় আমার চোখে জল শহর।

উল্লেখ্য পৌর উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় থাকছে ৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সীদের জন্য রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি আধুনিক বাংলা গান, রবীন্দ্র নৃত্য সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। প্রতিদিন দুপুর থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত মেলা ও চলবে। এছাড়াও প্রতিদিন সান্ধ্যকালীন সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান থাকছে বিভিন্ন শিল্পীদের সমন্বয়ে। এছাড়া এদিন দুপুরে গল্প বলা, শ্রুতি নাটক প্রতিযোগিতার ও আয়োজন করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য ১৬ই জানুয়ারি চতুর্থ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ও সর্বসাধারণ বয়স সীমা ৪০ পর্যন্ত থাকছে বিভিন্ন সৃজনশীল নৃত্য। একই দিনে প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়ারা যেমন খুশি সাজোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ১৭ ই জানুয়ারি চতুর্থ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ও সর্বসাধারণ অনূর্ধ্ব বয়সসীমা ৪০ পর্যন্ত থাকছে বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতা। ওই দিন চতুর্থ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী ও বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর একক আবৃত্তি প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।