পণ না দিতে পারায় এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

রাহুল মন্ডল, মালদা, ২১ আগস্ট’২৩ : পণ না দিতে পারায় এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে সারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার শ্রীপুর এলাকায়। মৃতদেহ আনা হলো ময়নাতদন্তে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার খরা গ্রাম এলাকার বাসিন্দা হাইমুদ্দিন শেখের মেয়ে জুলি পারভীনের (২০) সাথে সামাজিক মতে বিবাহ হয় গত ৮ মাস আগে শ্রীপুরের যুবক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে। বিয়ের সময় পণের যৌতুক হিসেবে নগর ৫০ হাজার টাকা সোনার অলংকার সহ অন্যান্য ঘর সাজানোর সরঞ্জাম দিয়েছিলেন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা বলে জানা যায়। পুনরায় আবার এক লক্ষ টাকা পণের দাবি করে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বলে অভিযোগ। গৃহবধূর বাবা হাইমুদ্দিন শেখ পণ না দিতে পাড়ায় গৃহবধূকে মাঝেমধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি সদস্যরা বলে অভিযোগ।

বিজেপির প্রাক্তন জলপাইগুড়ি জেলা সহ সভাপতিকে মাটিতে ফেলে মার বিজেপি নেতাকর্মীদের

গতকাল রাতে পুনরায় গৃহবধূকে পণের দাবিতে হাত-পা বেঁধে সারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারধোর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ গৃহবধুর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সকালে গৃহবধুর পরিবারের সদস্যদেরকে ফোন করে তার স্বামী জানায় যে তার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি ছুটে যায় তার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে। এরপর সেখানে গিয়ে দেখে তাদের মেয়ের সারা শরীরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ফুটো রয়েছে। তা দেখেই মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অনুমান করছেন তাদের মেয়েকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অত্যাচার করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর মৃত গৃহবধূর পরিবারের তরফে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *