মকলেসার রহমান, নাগরাকাটা, ১৪ মে ২০২৩ : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালে নিয়োগ অপ্রশিক্ষিত প্রায় ৩৬০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন। যদিও এই মুহুর্তে তাদের চাকরি যাচ্ছে না। তারা আগামী ৪ মাস চাকুরী করবেন এবং প্যারাটিচারের বেতন পাবেন। ইতিমধ্যে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা আবার পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। যোগ্য হলে নিয়োগ হবেন এবং সেক্ষেত্রে তাদের সিনিয়রিটি নষ্ট হবেনা। সদ্য বাতিল হওয়া তালিকায় রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেনী কল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইকের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়,অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের আত্মীয়দের নাম থাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে মেয়ের যোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক।

জানা গেছে, মন্ত্রীর মেয়ে সুষমা মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি চা বাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে নিয়োগ পান। তারপর থেকে চাকুরী করছেন। তালিকায় তার নাম রয়েছে। এনিয়ে সুষমা চিকবরাইক কিছু বলতে চান নি। তবে তার বাবা বুলু চিকবরাইক যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন, “মহামান্য আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আদালতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। তবে আমার মেয়ে যথেষ্ট যোগ্য ও উপযুক্ত। সে দুইবার ডাবলু বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে। ভাইবাও দিয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা যথেষ্ট ভালো। সে পরীক্ষায় বসে চাকুরী পেয়েছে। আবারও পরীক্ষা হলে দেবে। আমার বিশ্বাস সে আবারও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে”।
এনিয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সৌমজিৎ সিংহ বলেন, একসঙ্গে ৩৬০০০ জনের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কোলাপ্স করে যাবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের যেসব নেতাদের ছেলেমেয়েরা চাকুরী করে, তাদের সকলে না হলেও অধিকাংশ দুর্নীতির মাধ্যমে চাকুরী পেয়েছে এটা বলা যায়। সূত্রের খবর, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথের ছেলে সহ আরও অনেকের নাম তালিকায় আছে। এতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।