জলপাইগুড়ি : সিকিমে হ্রদ বিপর্যয়ের কারণে পরপর দ্বিতীয় শীতেও জলপাইগুড়ির গজলডোবা, তিস্তা, ফুলবাড়ি এবং আশপাশের অঞ্চলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমেছে। এমনটাই দাবি করেছে জলপাইগুড়ি বার্ড ওয়াচার সোসাইটি।
৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাস (AWC) পরিচালিত হয়। গজলডোবা, তিস্তা ব্যারেজ, ফুলবাড়ি এবং অন্যান্য জলাশয়ে পাখি গণনা করে সংস্থার সদস্যরা। তবে এবারের ফলাফল পাখিপ্রেমীদের হতাশ করেছে।

বার্ড ওয়াচার সোসাইটি-এর সভাপতি বিশ্বপ্রিয়া রাহুত এবং সদস্য মৌসুমী দত্ত জানিয়েছেন, সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের কারণে গজলডোবায় এই শীতে অনেক কম সংখ্যক পরিযায়ী পাখি এসেছে।
পরিযায়ী পাখিরা শীতকালে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই অঞ্চলে আসে। কিন্তু হ্রদ বিপর্যয়ের কারণে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলের পরিবর্তন এবং খাদ্যের অভাব এই সংকটের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিবেশের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে পরিযায়ী পাখিরা আবারও আগের মতো ফিরে আসবে বলে আশাবাদী জলপাইগুড়ির পাখিপ্রেমীরা।
পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যে এর প্রভাব কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।