জলপাইগুড়ি : কালিপুজো পার এখন ছট পুজো। পাশাপাশি শীতের আমেজ। প্রতি বছর প্রায় এই সময়টি বাজার দর নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এবছর সেই বাজার দর অনান্য বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি রয়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতেই বাজারদর দেখতে সরজমিনে জলপাইগুড়ির মহুকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী। বুধবার সন্ধ্যার সময় আচমকাই জলপাইগুড়ির স্টেশন বাজারে প্রশাসনিক অভিযান চালান মহকুমা শাসক। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা প্রত্যেকদের সাথে কথা বলেন তিনি। এদিনের অভিযানে কৃষি দপ্তর, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর সহ অন্যান্য আধিকারিক, কর্মীরাও মহকুমা শাসকের সঙ্গে ছিলেন।
বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি বয়েল থানা বাজারের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ফুলকপি বিকোচ্ছে ৮০ টা কেজি দরে, ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা কিলো, গাজর ১০০ টাকা প্রতি কিলো, পালং শাকের দামও আকাশ ছোঁয়া অর্থাৎ ১০০ টাকা কেজি। অনেক ক্রেতারা জানাচ্ছেন এই দাম গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
এর পাশাপাশি ফলের দামও অনেকটাই বেশি বলে অভিযোগ। আপেল ১০০ কোটি টাকা কিলো, বেদানা ২০০ টাকা কিলো, কলা ৪ পিস ৩০ টাকা, নারকেল ৫০ টাকা করে পিস এরকমই প্রত্যেকটির অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
কি কারনে বেশি? খোঁজ নিতে এই নিয়ে বিক্রেতাদেরও সাথে কথা বলেন মহকুমা শাসক। এরপরই সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে অভিযানের কথার পাশাপাশি দাম কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সব মিলিয়ে পুজোর মুখে প্রশাসনিক অভিযানের পর এই দামে এখন কতখানি পরিবর্তন আসে সেটাই দেখার।