তিস্তার স্রোতে জীবিকার টান; জীবন বাজি রেখে নদী পেরোনোর গল্প জলপাইগুড়িতে

জলপাইগুড়ি, ১৪ জুন: জীবনের ঝুঁকি যেখানে নিত্যসঙ্গী, সেখানেই দাঁড়িয়ে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ি শহরের একাংশের মানুষজন। তিস্তার মতো ভয়াল নদীকে পাশ কাটিয়ে তাদের রোজকার যাত্রা, শুধুমাত্র গবাদি পশুর খাদ্য কিংবা সামান্য চাষবাসের জন্য।

জলপাইগুড়ি শহরের তিন নম্বর থেকে চার নম্বর স্পার অঞ্চল ঘেঁষে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। এই নদীর অতীত রূপ বহু মানুষ দেখেছেন, অনুভব করেছেন তার ভয়াবহতা। বর্ষার সময় নদীর রূপ আরও রুদ্র হয়ে ওঠে। কিন্তু তবুও বাধ্য হয়ে নদী পেরোতে হয় বহু মানুষকে। কারণ, নদীর ও-পারে জন্মেছে ঘাস। গরু-বাছুরের খাবার সংগ্রহ কিংবা সামান্য জমিতে চাষ—এই দুইয়ের তাগিদেই পা রাখতে হয় উত্তাল নদীর বুকে।

The pull of livelihood in the Teesta river; Stories of crossing the river at the risk of one's life in Jalpaiguri

এপারের বাসিন্দারা জানান, নদীর স্রোত হঠাৎই ভয়ানক রূপ নেয়। তখন প্রাণ হাতে নিয়েই নদী পেরোতে হয়। কিন্তু উপার্জনের পথ নেই বললেই চলে, তাই পশুদের খাওয়াতে কিংবা নিজের পেটে দু’মুঠো ভাত তুলতে হলেও এই বিপদকে মেনে নিতে হয়।

তিস্তার চর অঞ্চলে ঘাস জমেছে। সেখানেই গরুদের নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকে আবার অস্থায়ীভাবে সেখানে কৃষিকাজ করেন। এইসব মানুষদের জীবন প্রতিদিনই ঝুঁকিতে থাকলেও কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেই প্রশাসনের তরফে।

তিস্তার বুক জুড়ে এই জীবিকার লড়াই যেন এক নিঃশব্দ সংগ্রাম—যেখানে নদীর স্রোতের চেয়ে প্রবল হয়ে ওঠে মানুষ বাঁচার ইচ্ছা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *