পুরসভা করে নি, তাই চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করলেন বাসিন্দারা

বাম আমলে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিলো। তার পরে বহুবার বলার পরেও তৃনমূল পরিচালিত পুরসভা রাস্তা সংস্কার করেনি। তাই বাসিন্দারা চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করলো।

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩০ জুলাই’২৩ : জলপাইগুড়ি পুরসভার বেহাল দশার ছবি ফের একবার দেখা গেল রবিবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষ পাড়া এলাকায়। এলাকার বেহাল রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কেউ উদ্যোগ গ্রহন করেনি! বহুবার বলা হয়েছিলো! কিন্ত পুরসভা বা স্থানীয় কাউন্সিলার কেউই বেহাল রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেনি। এমনই অভিযোগ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষ পাড়া এলাকার বাসিন্দাদের। তাই এবার বেহাল রাস্তার সংস্কারের কাজে এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ গত পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূল প্রার্থী কথা দিয়েছিলেন জয়ী হলে এক বছরের মধ্যে রাস্তা সংস্কার করে দেবেন। কিন্তু এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা যেমন ছিলো তেমনই থেকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা এবং কাউন্সিলারের ওপরে ভরসা না করে নিজেরাই চাঁদা তুলে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছেন তারা। বাসিন্দাদের বক্তব্য তাদের ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তাই বেহাল। তবে প্রদীপ ঘোষের মুদিখানা দোকান থেকে দেশবন্ধু নগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। স্থানীয় বাসিন্দা অজিত ঘোষ বলেন বাম আমলে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিলো। তার পরে বহুবার বলার পরেও তৃনমূলের পরিচালিত পুরসভা রাস্তা সংস্কার করেনি। তাই বাধ্য হয়ে নিজেরা চাঁদা তুলে ৬৪ মিটার রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।


বাসিন্দা ডলি মন্ডল জানান, এই রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব বাসিন্দাদের, নাকি পুরসভার। ভোটের আগে কাউন্সিলার অনেক ভাষন দিয়ে গেছে। কিন্তু ভোটের পরে কোন মাথাই ঘামায় না। তাই নিজেরাই এই কাজে হাত লাগিয়েছেন বলে জানান।

এদিকে স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাইরে আছেন বলে জানান। তবে তিনি বলেন ওই রাস্তার টেন্ডার হয়ে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *