সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ নভেম্বর’২৩ : উৎসবের দিন গুলিতে বিশেষ করে দুর্গাপূজা, কালীপুজোর দিন গুলিতে যানজট নিরসনের জন্য প্রতিবছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় শহর জলপাইগুড়িতে। দুর্গাপূজা শেষ! দুদিন পর কালীপুজো। সেক্ষেত্রে কালীপুজোতেও শহরের যানজট নিরসনের জন্য বিধিনিষেধ লাগু থাকবে বিকেল ৪টা থেকে রাত১২টা পর্যন্ত টোটো কিংবা যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে। উৎসবের দিন গুলি যাতে বয়স্ক নাগরিকদের কিংবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের পুজো মন্ডপ দেখতে যাওয়ার পথে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ‘ নো এন্ট্রি জোনের’ আওতায় বাইরে রাখা হয় সেই প্রস্তাব লিখিতভাবে বৃহস্পতিবার পুরসভার চেয়ারম্যানকে তুলে দেন জলপাইগুড়ি সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটির সদস্যরা। তাদের দাবী, জলপাইগুড়ি শহরে পুজো মৌসম শুরু হয়েছে। তার মধ্যে দুর্গা পুজো ও কালী পুজোই হচ্ছে বাঙালির বড় উৎসব। সেই উৎসবকে ঘিরে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘাট টোটো থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের উপর বিধিনিষেধ করা হয় । অভিযোগ এর ফলে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় শহরের যারা বয়স্ক প্রবীন ব্যাক্তি আছেন তারা পুজো মন্ডপ সেই সময় দেখা থেকে বঞ্চিত হন। কারণ রাত ১২ টার পর যখন নো এন্ট্রি খোলা থাকে তখন গভীর রাতে তাদের আর পুজো দেখার আবেগ এবং উৎসাহ থাকে না। এই সমস্যার কথা চিন্তা মাথায় রেখে জলপাইগুড়ি পুরসভাকে একটি আবেদন পত্র দেওয়া হল বলে সিনিয়র সিটিজেনের পক্ষে জানান জ্যোতি প্রসাদ রায়। তিনি আরও বলেন, প্রবীণ ব্যাক্তিদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের উপর ছাড় দেওয়া হোক। তাহলে তাঁরাও পুজো মন্ডপ দর্শন থেকে বঞ্চিত হবেন না। বরং খুব ভালই আনন্দ উপভোগ করবেন। অন্যদিকে এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল জানান দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় প্রবীণ বয়স্ক মানুষদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের ক্ষেত্রে নো এন্ট্রিজোনে ছাড় থাকে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা যেতে পারবে এবং দেখতে পারবে পুজোর মন্ডপ! এটা অত্যন্ত মানবিক ব্যাপার । এই বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনকে আবারও অবগত করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
