সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৩ ডিসেম্বর’২৩ :
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের পরিষেবা মোটামুটি ঠিক আছে। আরো কি করে এর উন্নতি সাধন করা যায় সে নিয়ে বৈঠক হল। শুক্রবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধীনে থাকা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে একথা জানান রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক ডঃ প্রদীপ কুমার বর্মা। এদিন হঠাৎ তিনি হাসপাতালে পৌঁছন এরপর মাতৃমা, লেবার ওয়ার্ডের পরিকাঠামো ও পরিষেবা খতিয়ে দেখেন।

এরপর এমএসভিপি ডঃ কল্যাণ খান এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সদর হাসপাতালের মাতৃমায় থাকা রোগীর পরিজনদের দীর্ঘদিনের সবচেয়ে বড় সমস্যা পর্যাপ্ত প্রতীক্ষালয় নেই। ছোট প্রতীক্ষালয় রয়েছে সেখানে কয়েকজন রোগীর পরিজন থাকতে পারেন। বেশিরভাগ রোগীর পরিজন শীত কিংবা বর্ষার সময় খোলা আকাশের নিচে মাতৃমার সামনে রাত কাটান। এই সমস্যা বারবার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডঃ প্রদীপ কুমার বর্মা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সমস্যার কথা স্বীকার করে বললেন, প্রতীক্ষালয় বড় করা হবে। অন্যদিকে হাসপাতালের আরও একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে। রোগীদের অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন ভাড়ার তালিকা না থাকায় ইচ্ছেমত রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছেন একাংশ বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলে অভিযোগ। এর জেরে বারবার সমস্যার পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা গরিব পরিবারগুলিকে। এদিন চেয়ারম্যান জানান, অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়ার বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। ভবিষৎতে ভাড়ার তালিকা নিয়ে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।”