অরুণ কুমার : নবান্ন এবং বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া যে সমস্ত বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে তার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে রাজভবনের তরফে রাজ্য সচিবালয় নবান্ন এবং বিধানসভার সচিবালয়ে পাল্টা চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো ১২টি বিল নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছিল বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। চিঠিতে আটকে থাকা বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপ জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজভবনের বিশেষ সচিব, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও বিধানসভার সচিবকে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। চিঠির সঙ্গে ১২টি বিলের প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। আটকে থাকা বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দেওয়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিলগুলিতে ছাড়পত্র দিতে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার ব্যবস্থা করতেও আবেদন করা হয়েছে। রাজভবনের প্রশ্নের ব্যাখ্যা মিললে বিলগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। সম্প্রতি রাজভবনে নিজের এক বছরের কার্যকাল পুরো করেছেন সিভি আনন্দ বোস। বর্ষপূর্তির দিনেই রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এক্ষেত্রে রাজভবনের একাংশের ব্যাখ্যা, যাতে দ্রুত ওই ১২টি বিলে ছাড়পত্র দিয়ে রাজ্য সরকারের কাজের পথ প্রশস্ত করা যায় সেই লক্ষ্যেই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
আরও জানা গেছে, রাজ্য বিধানসভায়
সাম্প্রতিক কালে পাস হওয়া ২২ টি বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য আটকে রয়েছে বলে রাজ্য সরকার ও বিধানসভার অধ্যক্ষ অভিযোগ করেছেন। রাজভবন পাল্টা ওই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তাদের দাবি রাজ্যের তরফে যে ২২ টি বিল রাজভবনে পড়ে থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে তার একটিও আটকে রাখা হয়নি। সেখানে দাবি করা হয়েছে, আলোচ্য বিলগুলির মধ্যে ১২ টি বিল সম্পর্কে রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তা এখনো মেলেনি। রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসানোর জন্য বিধানসভায় পাস হওয়া সংশোধনী সহ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সাতটি বিল বর্তমানে বিচারাধীন। একই রকম ভাবে দুটি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য আটকে রয়েছে। অন্য একটি বিল শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে।
অপরদিকে দিকে যে সমস্ত বিল রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার জন্য আটকে রয়েছে , সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সেগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে রাজ্যপাল একটি নতুন কর্মসূচীরও সূচনা করেছেন।