সংবাদ প্রতিবেদন, মেটেলি, জলপাইগুড়ি, ২৭ মে : উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল সংলগ্ন জনবসতির মানুষের জীবনযাপন ও বন্যপ্রাণ হানার সমস্যা সরাসরি শুনে তার প্রতিকারের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল সন্দীপ সুন্দরীয়াল। সোমবার জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকের সাউথ ইনডং বনবস্তিতে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং জেএফএমসি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এই আলোচনাপর্বে প্রধান মুখ্য বনপালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি, জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডিএফও বিকাশ ভি, গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন সহ অন্যান্য বনাধিকারিকরা।

বাসিন্দারা এদিন তুলে ধরেন তাদের বাস্তব সমস্যা— হাতি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর আকস্মিক হানা, বাড়িঘর ভাঙচুর, ফসলের ক্ষতি, বন কর্মীর ঘাটতি এবং ক্ষতিপূরণের অপ্রতুলতা। এছাড়াও একমাত্র খুনিয়া স্কোয়াডের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার ফলে স্কোয়াডের পরিধি বৃদ্ধি এবং ফেন্সিং-এর সম্প্রসারণের দাবিও উঠে আসে।
বনবাসীরা জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করার দাবি বহুদিনের, কারণ একাধিক পরিবার বারংবার ক্ষতির মুখোমুখি হলেও প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ বাস্তবের তুলনায় অপ্রতুল। এই দাবি এবার সরাসরি তুলে ধরেন রাজ্যের প্রধান বনপালের সামনে।
বৈঠক শেষে সন্দীপ সুন্দরীয়াল বলেন, “মানুষের সমস্যা বুঝতেই এখানে আসা। আমরা চেষ্টা করছি আরও বাস্তবমুখী ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথে এগোতে। হাতির চলাচলের পথ ও অভ্যাস বদলে গেছে, মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত বাড়ছে, সেটাকে সামলাতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।”
তিনি জানান, বন কর্মী সংখ্যা এবং স্কোয়াড বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়াকেও নতুনভাবে ভাবা হচ্ছে।
প্রধান বনপালের সরাসরি আশ্বাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বনবস্তির মানুষ। তাদের কথায়— “আমাদের কথা শোনার মতো কেউ এগিয়ে এসেছেন, এতেই আশার আলো দেখছি।”